সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার কারণে আগামী দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। বর্ষার ঋতু আষাঢ় না আসলেও গত কিছুদিন ধরেই আষাঢ়ের বৃষ্টি সিক্ত প্রকৃতি। কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে সারাদেশেই। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি উপকূলীয় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপটি আছে তা সুস্পষ্ট লঘুচাপ হবে। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ হবে, তেমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের দিকে যাবে। এটির প্রভাবে ওখানে বৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ‘কাল-পরশু থেকেই মৌসুমী বায়ু বেশি সক্রিয় হয়ে যাবে, তখন উপকূলীয় এলাকাসহ সারাদেশেই বৃষ্টি বাড়বে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূ্র্বাভাসে জানানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। সময়ের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে, সেখানে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩০ মিলিমিটার। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নিকলীতে, সেখানে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।