আজ ৯ জুন থেকে থেকে আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামের বায়েজিদ সংযোগ সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও সড়কটি গতকাল সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। বুধবার (৯ জুন) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।
তিনি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে দু’টি কারণে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক আগস্ট মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে- বৃষ্টির কারণে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এলাকার দুই-তিনটি পাহাড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব পাহাড়ের বেশিরভাগই বালি। তাই এগুলোর মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে- এই সড়কের পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন না হওয়ার আগে চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার্থে খুলে দেয়া হয়েছিল। এখনো সড়কে কয়েকটি ব্রিজের কাজ চলছে। এসব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আবার সড়কটি চালু থাকলে সেখানে গাড়ি থামিয়ে কিছু লোকজন ছবি তোলে। এটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সবমিলিয়ে সড়কটি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তবে গতকাল সন্ধ্যা থেকে সিডিএ যান চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা কিংবা চট্টগ্রাম নগর ট্রাফিক পুলিশকে কোনো চিঠি দেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশের দুটি ইউনিটের কর্মকর্তারা। প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজকে সকালে তারা হয়তো চিঠি হাতে পাবেন। এছাড়া জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে যানবাহনের চাপ কমাতে বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করেছে সিডিএ। ছয় কিলোমিটারের এই সড়ক নির্মাণে কাটা হয় ১৬টি পাহাড়। পরিবেশ অধিদফতর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নিয়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার দায়ে ১০ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছে সিডিএ।
৩২০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের আওতায় সড়কটিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি কালভার্ট ও ৬টি ব্রিজ। এই প্রকল্পের একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করে সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুন মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে পুনরায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।