রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু কমেছে। তবে অস্বাভাবিক বেড়েছে সংক্রমণের হার। রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৭ জন এবং উপসর্গে ৪ জন মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাব এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ তিন জেলার ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১০৪ জনের।
রাজশাহীর ১৪০ নমুনায় ৯১ জনের পজিটিভ, নওগাঁর ৪৪ নমুনায় ১৩ জনের পজিটিভ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ নমুনায় সকলের নেগেটিভ এসেছে। ফলে রাজশাহীতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৬৫.৩০% এবং নওগাঁয় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৯.৫০%।
এ নিয়ে জুলাই মাসের ২৪ দিনে রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ১৪ জুলাই ২৫ জন ও সবচেয়ে কম ৪ জুলাই ১২ জন। এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গে মারা যান ৪০৫ জন।
রামেক পরিচালক জানান, নতুন মৃতদের রাজশাহীর ৬ (পজিটিভ ৪, উপসর্গে ২) জন, নাটোরের ১ (উপসর্গ ১) জন, পাবনার ২ (পজিটিভ ১, উপসর্গ ১) জন, নওগাঁর ১ (পজিটিভ) জন ও কুষ্টিয়ার ১ (পজিটিভ) জন। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এদের ৬ জনের বয়স ৬১ এর ঊর্ধ্বে, ৪ জনের বয়স ৫১ এর ঊর্ধ্বে ও ১ জনের বয়স ৪১ এর ঊর্ধ্বে।
তিনি বলেন, ‘আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের ৫১৩ বেডের বিপরীতে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪১৯ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ২০৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৩, নাটোরের ৬৫, নওগাঁর ৪৩, পাবনার ৪৩, কুষ্টিয়ার ১৬, চুয়াডাঙ্গার ৯, জয়পুরহাটের ২, মেহেরপুরের ২, সিরাজগঞ্জের ৪, ঝিনাইদহের ৪ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ৩০, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২, নাটোরের ৫, নওগাঁর ৪, পাবনার ১১ , কুষ্টিয়ার ১, সিরাজগঞ্জের ২ ও চুয়াডাঙ্গার ২ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৭ জন।
পরিচালক জানান, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪১৯ জনের মধ্যে ১৯৪ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭২ জন। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ইনফেকশনসহ পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৩ জন।