রাজশাহীর বাজারেই আম্রপালির কেজি ১৭০ টাকা
বাংলাদেশ

রাজশাহীর বাজারেই আম্রপালির কেজি ১৭০ টাকা

মৌসুমের শেষের দিকে রাজশাহীর বাজারে আমের সরবরাহ কমেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে দাম। প্রতিমণ আমে দাম বেড়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিসহ বিক্রেতারা।

সোমবার (১৮ জুলাই) রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারসহ নগরীর সাহেব বাজার, কাজলা মোড়, শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ড ও রেল গেটের মোকামগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে হিমসাগর, গোপালভোগ, আঁটি, ল্যাংড়া আম নেই। বাজারে এখন শুধু ফজলি, আশ্বিনা, আম্রপালি পাওয়া যাচ্ছে। আশ্বিনার সরবরাহ অন্যান্য আমের তুলনায় বেশি। তবে দাম ও গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আম্রপালি।

রাজশাহীর মোকামগুলোতে আম্রপালি পাইকারিতে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার, আশ্বিনা ৮০০ থেকে বেড়ে এখন ১৬০০, ফজলি সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজারে মণ বিক্রি হচ্ছে। বারি-৪ জাতের আম সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মণ।

রাজশাহীর খুচরা বাজারে ফজলি ও সুরমা ফজলি প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আম্রপালি আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে, বারি-৪ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।

আম বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর মৌসুমের শেষ সময়ে সরবরাহ কম থাকায় বাগান থেকে বেশি দামে আম সংগ্রহ করতে হয়। এ বছর রাজশাহীর বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম কম এসেছে। বাজারের বেশিরভাগ আম্রপালি ও বারি-৪ নওগাঁর সাপাহারের বিভিন্ন বাগান থেকে এসেছে। ফজলি আমগুলো রাজশাহীর বাগানের। হাঁড়িভাঙ্গা আমগুলো দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের।

সাহেব বাজারের আম বিক্রেতা মো. রায়হান শেখ বলেন, বর্তমানে আমের বেচাকেনা কম। দাম তুলনামূলকভাবে বেশি রয়েছে। ঈদের আগে যে আম্রপালি ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। সেই আম এখন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। জুলাই মাস শেষ হতে হতে আগস্টের শুরুর দিকে বাকি বাগানগুলোর আম প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এখন আম্রপালির ভালো চাহিদা আছে।

নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ডে আম কিনতে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি সুরমা ফজলি ১০ কেজি ও আম্রপালি ১০ কেজি নিলাম। আম্রপালি ১৭০ টাকা দরে কিনলাম।

রাজশাহীর বাজারেই আম্রপালির কেজি ১৭০ টাকা

রাজশাহী জেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই লাখ ১৭ হাজার টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছর ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছিল। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১১ দশমিক ৯৬ টন। মোট উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৫৩ টন। যার বিক্রয়মূল্য ছিল প্রায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার ১২০ টাকা।

আমের বর্তমান বাজার সম্পর্কে বানেশ্বর আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের পরেই বানেশ্বর বাজার। বাজারে এখন আশ্বিনা আম বেশি। তবে ফজলি, আম্রপালি বেশি আছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই সময়ে এরকম দামে আম বিক্রি হয়নি। দাম ভালোই আছে। চাষিরাও খুশি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন জানান, বাজারে গুটি জাতের আম সবার আগে আসে। পর্যায়ক্রমে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনা আম বাজারে আসে। এরপর বাজারে আসে খিরসাপাত, হিমসাগর ও লক্ষণভোগ। মৌসুমের শেষের দিকে আশ্বিনাসহ বারি-৪ আসে। এটার দাম তুলনামূলক ভালোই থাকে।

Source link

Related posts

ভোলার আইসিইউ বেড হস্তান্তরের দেড় মাসেও চালু হয়নি

News Desk

৪৩ দিনেই লাখপতি টাঙ্গাইলের জ্যোতি

News Desk

করোনায় পেছাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

News Desk

Leave a Comment