শেরপুরে র্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, একই দিন বিকাল ৩টার দিকে র্যাব-১৪-এর একটি দল আওলাদুলকে গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে গ্রেফতার করতে গেলে ‘এলাকাবাসীর’ বাধার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে তাকে স্থানীয় এলাকাবাসী ছিনিয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পেছন দিয়ে পালাতে সহায়তা করে।
এর দুই ঘণ্টা পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক দল ভাতশালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওলাদুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামিকে র্যাব ধরতে গেলে চেয়ারম্যানের চিৎকারে তার লোকজন জড়ো হয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই অবস্থায় র্যাব ও জনতা সংঘর্ষ হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে র্যাব চলে আসে।’
এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় করা মামলাগুলোর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিতায় হত্যা মামলার আসামি আওলাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার আওলাদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি একই ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আজম আলী মণ্ডলের ছেলে। শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজশিক্ষার্থী মাহবুব হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের মা মাফুজা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।