ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘সাহিত্য মেলা’
বাংলাদেশ

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘সাহিত্য মেলা’

অন্য যেকোনও মেলার মতোই সাজানো স্টল। দেয়ালে আলপিন দিয়ে সাঁটানো হয়েছে বিভিন্ন সাইজ ও রঙের কাগজ। এসব কাগজে লেখা গল্প, কবিতা, ছড়া, গানসহ সাহিত্যের নানা উপাদান। রবিবার (২৬ নভেম্বর) নওগাঁর ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে এমন ভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী হয়ে গেলো। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় এই ‘সাহিত্য মেলা-২০২৩’ আয়োজন করে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ক্ষুদে এই আয়োজকরা জানিয়েছে, তাদের নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে তারা এই মেলার আয়োজন করেছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গ্রন্থের নামে ‘বিষের বাঁশি’, ‘সর্বহারা’, ‘প্রলয়শিখা’ প্রভৃতি নামে মেলার স্টলগুলোর নাম দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা বাংলা পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য উৎস পর্যালোচনা করে নিজেদের রচনা করা গল্প, কবিতা, ছড়া, সংগীত প্রভৃতি সাহিত্য উপাদান এসব স্টলে উপস্থাপন করে। এতে ১৮টি দলে ভাগ হয়ে অংশ নেয় ইংরেজি ও বাংলা ভার্সনের প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থী।

সাহিত্য মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম জাকির হোসেন। শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন দেখে তিনি বলেন, ‘নতুন এই শিক্ষাক্রমের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’ এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান। তিনি নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচকদের সমালোচনা করেন। তিনি গুজবে কান না দিয়ে নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. শরিফুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন এই শিক্ষাক্রমকে যতটা সম্ভব ফলপ্রসূ করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমি ও আমার সম্মানিত সহকর্মীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নতুন এই শিক্ষাক্রমে নিজেদের যেভাবে মেলে ধরছে, তাতে করে নতুন এই শিক্ষাক্রমকে বাস্তবায়নে তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এসময় নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খাঁন, নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান এবং স্থানীয় পিএ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান্দ বানুসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন পরিদর্শন করেন।

Source link

Related posts

ভারতের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকা উচিত নয়, বললেন আকবর আলি খান

News Desk

পুরো উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন দীপা

News Desk

হিলিতে মাঘের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে ২৫ লাখ টাকার ইট

News Desk

Leave a Comment