নীলফামারীর সদরে চাপড়া সরঞ্জাজানি ইউনিয়নের মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর কবর দিতে বাধ সাধেন তার তৃতীয় ছেলে নওশাদ আলী। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার লাশ দাফনে বাধা দেন তিনি। এ সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকে। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়, ঘটনাটি মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চওড়া সরঞ্জাজানি ইউনিয়নের বাটুলটারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও দুই স্ত্রী, চার সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মৃত মজিবর রহমান চার ছেলের মধ্যে তার তিন ছেলেকে নিজের জমি জমা লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাদ আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। ছেলের সঙ্গে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনও জমি লিখে দেননি তিনি। গত বৃহস্পতিবার ভোরে মুজিবর রহমান মারা গেলে আজ দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্ততি নেন স্বজনরা।
এ সময় নওশাদ জমির দাবির নিয়ে তার বাবার কবরে শুয়ে পড়ে ও লাশ দাফন করতে বাধা দেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে তার বাবার লাশ দাফন করা হয়। তারা জানায়, কবরটি অপবিত্র হওয়ায় অন্য জায়গায় কবর দেওয়া হয়।
চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, ‘মৃত মজিবর রহমান তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ায় সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।’