সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর ২টা থেকে চৌহাট্টা এলাকায় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে হাজারো শিক্ষার্থীর সঙ্গে চৌহাট্টা এলাকার লোকজন যোগ দেন। বিকালে নগরীর জিন্দাবাজার থেকে দরগাহ মহল্লা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন তারা। বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর থেকে বিকাল ৫টার আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলছিল। বিকাল ৫টার দিকে নগরীর আম্বরখানার দিক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক ও তরুণ চৌহাট্টা পয়েন্টে এসেই পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় পাল্টা টিয়ারশেল, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টের তিন দিকে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশের বাধায় চৌহাট্টা থেকে নয়াসড়ক, জিন্দাবাজার ও দরগা গেটমুখী সড়কের দিকে ভাগ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। তিন দিক থেকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ চলে। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছিল। তাতে পুলিশ বাধা দেয়নি। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা জানা যায়নি। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সেই সংখ্যা পরে জানানো হবে। আমাদের অন্তত চার জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’