ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সদর দোয়ারাবাজার, ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারও মানুষ। সুনামগঞ্জ শহরের বড়পাড়া, তেঘরিয়া, ওয়েজখালী মল্লিকপুর ও নবীনগরসহ নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ছাতকে ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিচু এলাকার সড়কগুলো ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ছাতক গৌবিন্দগঞ্জ ও আমেরতল সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জের সুরমা, চেলা যাদুকাটা, চলতি, খাসিয়ামারা ও বৌলাইসহ সব নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ছাতকে ১৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জে ১০২ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৬৯ মিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পানিবন্দি মানুষের জন্য ১০ মেট্রিকটন চাল ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।