সুন্দরবনের পর্যটন স্পটে দোকান, মেলে সিগারেটও
বাংলাদেশ

সুন্দরবনের পর্যটন স্পটে দোকান, মেলে সিগারেটও

সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পটে রয়েছে বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান। সেখানে মেলে খেলনা, কুটির শিল্প, খাদ্যদ্রব্য। পাওয়া যায় সিগারেটও। আর স্পটে বর্জ্য ফেলার পাত্র থাকলেও তাতে বর্জ্য থাকে না। সব বর্জ্য বনের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে।

দোকানদাররা বলছেন, কোনোকিছুরই অনুমতি নেই। তবে পর্যটকদের চাহিদা থাকায় তারা বিক্রি করেন। সিগারেটের চাহিদা যথেষ্ট। আর খাবার ভেবে পাত্র থেকে বর্জ্য তুলে নিয়ে বানররা বনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে।

সম্প্রতি সুন্দরবনের করমজল ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চ থেকে নামার মুখেই আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। একটু সামনে এগোলেই বেশকিছু দোকান রয়েছে। মেলার মতো একটা পরিবেশ। এখানের দোকানে বিভিন্ন সামগ্রীর সঙ্গে সিগারেটও রয়েছে প্রকাশ্যে। সামনেই করমজল প্রবেশগেট। ভেতরে কুমির প্রজননকেন্দ্রের পাশে বেশকিছু দোকান। সেখানে খাবার সামগ্রী বিক্রি চলছে। বনের গভীরে প্রবেশের সিমেন্ট ঢালাই র‌্যাম্প ধরে এগিয়ে গেলে মাঝপথে রয়েছে ওপর থেকে বনের সৌন্দর্য দেখার সুউচ্চ টাওয়ার। টাওয়ারের নিচে রয়েছে হরেক রকমের দোকান। মুড়ি-ছোলা ভাজা, বিভিন্ন রকম ফল কেটে বিক্রি, বাদাম ভাজা, পানি, কোমল পানীয়, জুসসহ বেশকিছু হালকা খাবার আইটেম। এ ছাড়া প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সিগারেটও।

সুন্দরবন ঘুরতে আসা স্কুলছাত্রী নিশাত জিনিয়া বলেন, ‘এখানে এসে মেলার মতো একটি পরিবেশ পেলাম, ভালো লাগলো। বানর রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে।’

টাওয়ারের নিচে সিগারেট বিক্রেতা মো. রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে কোনোকিছুই বিক্রির অনুমতি নেই। তবে আমরা বিক্রি করি সতর্কতার সঙ্গে। আমি এখানে ময়লা পরিষ্কার করি আর বেচা-বিক্রি করি। সিগারেটের চাহিদা যথেষ্ট। সিগারেট বেচার সময় বলে দিই নিভিয়ে নিচে ফেলতে হবে। ফেলার পর পা দিয়ে ঘষে দিতে হবে। আর সিগারেট নিয়ে বনের ভেতরে যাওয়া যাবে না। এ কারণে পর্যটকরা সামনে থেকেই সিগারেট টেনে থাকেন।’

র‌্যাম্প থেকে নামার পথেও দোকানে রয়েছে সিগারেট। যা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এখানের বিক্রেতা মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমরাই বন পরিষ্কার করি। বিকালে বন্ধের পর পরিষ্কার করে রাখি। আবার সকালে এসে পরিষ্কার করি। বনে আসা লোকজন সিগারেট চায়। তাদের আগ্রহের কারণে সিগারেট রাখি। তবে সতর্ক করে দিই। আর বর্জ্য ফেলার পাত্র থাকলেও বানর সেখানের বর্জ্য খাবার ভেবে তুলে নিয়ে বনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে। আমরাই সেগুলো পরিষ্কার করি।’

করমজল স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘একদিনের পর্যটকদের জন্য হালকা খাবার ও কিছু সামগ্রীর দোকান আছে। কিন্তু সিগারেট বিক্রির সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখছি।’

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘সুন্দরবনে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ১ লাখ ৪ হাজার পর্যটক এসেছেন। এ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। গত অর্থবছরে ২ লাখ ১১ হাজার পর্যটক থেকে আয় ছিল ৩ কোটি ৬১ লাখ।’

তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের স্পটে সিগারেট বিক্রির বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Source link

Related posts

দীর্ঘদিন পর কুয়াকাটা সৈকতে বেড়েছে পর্যটক

News Desk

রাস্তা খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার ‘উধাও’, জনভোগান্তি চরমে

News Desk

ট্রেনের ধাক্কায় পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment