বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় চিংড়ি ঘের থেকে ওঠা গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া এলাকার ওই গ্যাস উদগিরণস্থল পরিদর্শন শেষে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল নমুনা সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: ঘের থেকে উঠছে গ্যাস, চলছে রান্না
দলের প্রধান বাপেক্সের জেনারেল ম্যানেজার (পরীক্ষাগার) হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংগ্রহকৃত নমুনা দুই স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন তৈরিতে প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানা যাবে এই গ্যাসের ধরন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি শ্যালো মার্স গ্যাস (লতাপাতা, গুল্ম পচা) অর্থাৎ উপরিভাগের মিথেন গ্যাস। তারপরও দুই ধরনের পরীক্ষায় একটিতে যদি হায়ার হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাহলে সেটা হবে ভূগর্ভস্থ দাহ্য মূল্যবান বাণিজ্যিক গ্যাস। আর হায়ার হাইড্রোকার্বন না থাকলে হবে ভূ-উপরিভাগের মিথেন (মাটির নিচের লতাপাতা-গুল্ম পচা) গ্যাস, যা কিছুদিন ধরে উঠতে উঠতে এক সময়ে শেষ হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক হলে তো অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহের পর ঘের ও বাড়ির মালিক দেলোয়ার শেখকে (৩৫) লাইন টেনে গ্যাস ব্যবহার করে রান্না করার পরামর্শ দেন। কারণ এতে বাড়িসহ আশপাশে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাপেক্সের কর্মকর্তা খুলনার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) তৌহিদুর রহমান ও তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মোংলার আহ্বায়ক নুর আলম শেখ।
উল্লেখ্য, দেলোয়ার শেখের পৌনে তিন বিঘার চিংড়ি ঘের থেকে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে গ্যাস উঠছে। সেখান থেকে পাইপ টেনে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঘরের চুলায় গ্যাস দিয়ে রান্নাবান্না করছিলেন।