বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে বার্তা পাঠান এক নারী। তিনি লেখেন, ‘স্থানীয় একটি বর্ণাঢ্য পরিবারে বিয়ে হয় তার। স্বামী সুদর্শন ও শিক্ষিত। ঘরে ৯ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে তার স্বামী তাকে নানাভাবে অপমান-অপদস্ত করে আসছে। স্বামী প্রায়ই তার গায়ে হাত তুলতো।
‘দীর্ঘদিন নানা অপমান ও নিপীড়ন সহ্য করে সংসার করছিলেন সেই নারী। তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন সংসার করার জন্য। বেশ কিছুদিন আগে তাকে তার সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সন্তানকে নিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন তার ভাইয়ের বাড়িতে। তার আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। সন্তান নিয়ে তিনি ভীষণ বিপদে পড়েছেন।
কোনো উপায়ন্তর না দেখে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান। তবে তিনি কোনোভাবেই তার স্বামী বা তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে আগ্রহী নন। তিনি বরং সংসার করতে চান। সম্মানের সঙ্গে তার সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান।
বুধবার (৯ জুন) রাতে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর বার্তা পাওয়া মাত্রই মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বিষয়টি কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদের কাছে পাঠিয়ে তাকে নির্দেশনা দেয় সেই নারীকে আইনি সহায়তা দিতে। ওসি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তাৎক্ষণিকভাবে উদ্যোগী হয়ে ওই নারীকে তার শ্বশুরবাড়িতে তুলে দেন।
‘ওই নারীর স্বামীকে বলা হয়, ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে পুনরায় কোনো অভিযোগ এলে তাকে কঠিন আইনি পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ তার পাশে প্রবলভাবে থাকবে বলে সেই নারীর স্বামী ও তার পরিবারকে সতর্ক করা হয়। পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। যেকোনো প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ওই নারীকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নারীর অনুরোধে উভয়পক্ষের নাম-পরিচয় প্রকাশ থেকে বিরত থাকা হয়েছে বলেও জানানো হয়।