স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে চকবাজার প্যারেড কর্নারে গণজমায়েতের পর মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান। এ সময় জুলাই আন্দোলনে আহত দুজন শিক্ষার্থীও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা বাংলার মাটিতে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে হবে। যদি স্বৈরাচারের দোসরদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ হয়, তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে ছাত্ররা। আজ নাকি তারা রাজপথ দখলে নেবে বলেছিল। কিন্তু তাদের রাজপথে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সবাই যার যার অবস্থান থেকে পালিয়েছে।’
কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার মানুষের রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা হয়েছে। পতিত সরকারের দোসরদের সঙ্গে কোনও আপস নেই। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। এই ফ্যাসিস্টরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে দুমড়েমুচড়ে দেবো আমরা। শহীদের রক্তে রঞ্জিত জমিতে তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। এখানে আওয়ামী লীগের ঠাঁই নেই।বিভিন্ন সময় ফ্যাসিবাদী শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করার জন্য ছাত্ররা রাজপথে রক্ত দিয়েছে। ২০২৪ সালে বিগত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি আমরা।’
মিছিলে হাজারো শিক্ষার্থী ও লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘হাসিনাকে আনবো, ফাঁসিতে ঝুলাবো’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’, একটা-দুটা লীগ ধর, ধরে ধরে বস্তা ভর’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।