গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের চেয়ে কর্মী-সমর্থকদের মাঝে হিসাব-নিকাশ বেশি চলছে।
কর্মী-সমর্থকরা চায়ের দোকান, দলীয় কার্যালয় ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজ নিজ নেতাদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে প্রার্থীরা সবার কাছে দোয়া চাইছেন। সমর্থকদের মধ্যে কার নেতা পদ পাবেন তা নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। সব মিলিয়ে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজমান।
১৯ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জেলাজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করে নিজ নিজ নেতাদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্যান্ডেল নির্মাণসহ রাজবাড়ি মাঠজুড়ে সামিয়ানা টানানো হয়েছে। সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সম্মেলন উপলক্ষে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর শহরের রাজবাড়ি মাঠ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের ওপরে স্থাপন করা হয়েছে তোরণ। সড়কের দুই পাশে শত শত ব্যানার ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।
২০০৩ সালের ২৯ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে তৎকালীন গাজীপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক সভাপতি এবং টঙ্গী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে পুনরায় সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তবে ২০০৩ সালের পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি।
সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন জনের নাম শোনা যাচ্ছে। সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান প্রশাসক আখতারউজ্জামান।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয়, শ্রীপুর উপজেলা পরিষেদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আরিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারও কারও পক্ষে সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্মেলনের দিন দ্বিতীয় অধিবেশনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম জানা যাবে। তবে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।’