রমজান উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছেন ১২ যুবক। প্রথম দিনই ২৮৭ কেজি গরুর মাংস বিক্রি করেছেন তারা। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এই মাংস বিক্রি করা হবে।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের আকনবাজার সড়কের আলআকসা জামে মসজিদের সামনে এ গরু মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এখানে কম মূল্যে মাংস কিনতে পেরে খুশি নিম্ন আয়ের ভোক্তারা।
জানা গেছে, রায়পুর উপজেলার ২৮টি বাজারে কেজি প্রতি গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেন তারা।
উদ্যোক্তা কাজি কাউছার বলেন, একজন ক্রেতা সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ দুই কেজি মাংস নিতে পারছেন এখান থেকে। এ ছাড়াও রমজান উপলক্ষে প্রতি রবিবার বাজারের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় ক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখান থেকে পরিবারের জন্য মাংস কিনছেন।
মাংস কিনতে আসা ছোট ব্যবসায়ী সুমন বলেন, বাজারে কেউ কিছু বলে না। এর আগে আমরা তো ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস খেয়েছি। এখানে বাজার থেকে ২৫০ টাকা কম দামে কিনতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের যে রোজগার তা দিয়ে গরুর মাংসের কথা চিন্তাও করতে পারি না।
আরেক ক্রেতা ইজিবাইক চালক আবদুল মান্নান বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম কম দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, তাই এক কেজি কিনলাম। দেখে খুব ভালো লাগছে যে গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রায়পুর শহরে ও অন্য বাজারে কিনতে গেলে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা লাগছে। এমন উদ্যোগ দেখে আমরা খুবই খুশি।
এ বিষয়ে কাজি কাউছার বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসায়ীরা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের প্রতি জুলুম করছেন। এতে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ গরুর মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ১২ রমজান থেকে আমরা ১২ বন্ধু খোরশেদ ভূঁইয়া, আকরাম সেট, মহসিন হোসেন, রিয়াদ হোসেন, সুমন, রুহুল আমিন, মাছুম বিল্লাহ, সোহানুর রহমান শান্ত, এম এ বিল্লাল, তারেক আজিজ, ইব্রাহিম ও রিফাত হোসেন একসঙ্গে কম দামে (৬৫০ টাকা কেজি) বিক্রি করতে পারায় খুশি। আজ ২৮৭ কেজি মাংস বিক্রি হয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ ক্রেতা -দিনমজুর ও ছোট ব্যবসায়ী। অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছি।