আজমেরী হক বাঁধন (জন্ম: ২৮ অক্টোবর ১৯৮৩যিনি পর্দায় বাঁধন নামে পরিচিত) একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী ও মডেল। তিনি ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে রানার-আপ হওয়ার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি রেহানা মরিয়ম নূর (২০২১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ভীষন প্রশংসিত হন এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শকবৃন্দ উঠে দাড়িয়ে অভ্যর্থনা প্রদান করেন।
আজমেরী হক বাঁধনের পূর্ণ জীবনী:
পুরো নাম : | আজমেরী হক বাঁধন |
ডাক নাম: | বাঁধন |
জন্ম: | ১০ অক্টোবর, ১৯৮৬ |
ধর্ম : | ইসলাম |
জন্মস্থান: | বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ |
বর্তমান বয়স: | ৩৮ বছর (আপডেট- ২০২১) |
জন্মদিন : | ১০ অক্টোবর |
জাতীয়তা: | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব: | বাংলাদেশী |
শিক্ষা: | বি. ডি. এস. (দন্ত) |
পেশা: | অভিনেত্রী, মডেল এবং দন্ত চিকিৎসক |
কর্মজীবন: | ২০০৬-বর্তমান |
উচ্চতা: | ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৬৫ মিটার) |
চুলের রঙ: | কালো |
চোখের রঙ: | ডার্ক ব্রাউন |
জুতার আকার: | ৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী: | মাশরুর হোসেন সিদ্দিকী সনেট (বিবাহ. ২০১০–২০১৪) |
সন্তান: | মিশেল আমানী সায়রা |
প্রাথমিক জীবন:
বাঁধন মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে দন্ত বিষয়ে বি.ডি. এস. পাশ করেন, এবং ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার রানার আপ হন।
অভিনয় জীবন:
বাঁধন ২০০৬ সাল থেকে তার কর্ম জীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি তীরন্দাজ, ডিবি, মেঘের পরে মেঘ, সহযাত্রী, এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি, নীল নির্বাসন, ও রূপকথার মা ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি আরএফএল ফার্নিচার ও কোকোলা নুডুলসের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।
তার অভিনীত রেহানা মরিয়ম নূর (২০২১) চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং তার অভিনয় সমাদৃত হয়। স্ক্রিন ডেইলি লিখে, চলচ্চিত্রটিতে “আজমেরি হক বাঁধনের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এক ধরনের অব্যবস্থিত গতির বিস্তার ধরে রাখে।”
ব্যক্তিগত জীবন:
বাঁধন ২০১০ সালে জানুয়ারি মাসে মাশরুর সিদ্দিকী সনেটকে বিয়ে করেন। ২০১০ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর এই দম্পতির কন্যা সায়রা জন্মগ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৬শে নভেম্বর বাঁধন ও সনেটের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিক্রমপুরী লাক্সকন্যা বাঁধন। কঠোর পরিশ্রম ও অভিনয় গুণের মাধ্যমে নাট্যাঙ্গনে ইতোমধ্যেই তিনি নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। জয় করে নিয়েছেন অজস্র দর্শকের মন। ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় ২য় রানার আপ হন বাঁধন।
অভিনয়ের বাইরে বাঁধন একজন দন্ত চিকিৎসক। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের অধীনে দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। পেশা হিসেবে চিকিৎসাকে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে বাঁধনের। ২৮ অক্টোবর আজমেরী হক বাঁধন-এর জন্মদিন।
পরিবার
২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঘরোয়া একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ব্যবসায়ী মাশরুর হোসেন সনেটকে বিয়ে করেন বাঁধন। পরের বছরের ৬ অক্টোবর কন্যা সন্তানের মা হন তিনি।
বাঁধন অভিনীত নাটক ও চলচ্চিত্র:
তাঁর অভিনীত নাটক ‘বুয়াবিলাস’, ‘শুভ বিবাহ’। ধারাবাহিক নাটক-চাঁদ ফুল অমাবশ্যা, বিজি ফর নাথিং, এয়ারকম, চৈতা পাগল,রঙ। এছাড়া বেশ কয়েকটি টিভি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘নিঝুম অরণ্যে‘ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। মুশফিকুর রহমান-প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সজল। ‘নিঝুম অরণ্যে‘ বাঁধন অভিনীত একমাত্র চলচ্চিত্র।
প্রিয় পদ
আমি ভাত, মাছ, ডিম, দই, দুধ, গরুর মাংস, মিষ্টি ও স্যূপসহ সব খাবার খেতে পছন্দ করি। তবে গরুর মাংস ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব পছন্দ। মিষ্টি দেখলেতো রীতিমতো আমার জিভে জল এসে যায়।
বাইরে খাওয়া
খাবারের জন্য বাইরে আমার নির্দিষ্ট কোন রেস্টুরেন্ট নেই। আমি ফুটপাত থেকে শুরু করে সব বড় রেস্টুরেন্টে খেয়ে থাকি। সবখানে খাওয়াটাকে খুব উপভোগ করি। আসলে সবখানে না খেলে সবার সাথে না মিশলে পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য্য অনুধাবন করা যায় না।
আমার রান্না
খাবার নিয়ে আমার অতটা আগ্রহ নেই। যেহেতু আমার বাবু আছে বাবুকে সময় দেই। তবে বাসায় কখনও রান্না-বান্না করলে খিচুরী, পায়েস, গরুর মাংস ইত্যাদি রান্না করে থাকি।
বিদেশি খাবার
যে দেশে যাই সেই দেশের সব ধরনের খাবারই আমার ভালো লাগে। তবে থাইল্যান্ডের থাই স্যূপটা আমার খুব পছন্দ। বিশেষ করে ব্যাংককে ওরা সুন্দর করে মাছ ভুনা করে। একদিনতো আস্তো একটা বোয়াল মাছ ভুনা খেয়ে ফেলেছি। ভাগ্যিস পেটে কুলোয়নি তা নাহলে আরো একটা খেতাম।
আমার অঞ্চল
আমার গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুর। বিক্রমপুরের পিঠা আমার প্রিয় খাবার। আমি গ্রামের বাড়িতে গেলে পাটি সাপটা, দুধ চিতই ও ঝিনুক পিঠা খেয়ে থাকি।
কাজের সময়
শুটিং চলাকালীন সময় যেই খাবার দেয়া হয় সেটাই আমার কাছে খুব ভাল লাগে। আসলে সব ধরনের কাজেই পরিশ্রম আছে। কাজের সময় বেশ ক্ষুধাও লাগে তাই তখন যেটাই দেয়া হয় সেটাই খেতে মজা লাগে।
বন্ধুদের সাথে আড্ডায়
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময় আমি টক দই বেশী পছন্দ করি। কারন এটি যে কোন সময় নিজেকে ফ্রেশ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ফুচকা খেতে খুব ভাল লাগে। বিশেষ করে টিএসসিতে গেলে তো ফুচকা খাওয়া মিস হয়না।
খাবার ভাবনা
শরীর মন সুস্থ্য রাখতে সবাইকে বেশী করে পানি খাওয়া দরকার। প্রতিদিন খানিকটা বাদাম খাওয়া উচিত। কারণ বাদাম শরীর ঠিক রেখে শরীরকে আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন সবাইকে শাক, মাছ, ফলমূল এবং মাঝে মধ্যে মুরগীর মাংস খাওয়া দরকার।