জয়নাল হাজারী (২৪ আগষ্ট ১৯৪৫ – ২৭ ডিসেম্বর ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সংসদ সদস্য এবং ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ফেনীর গডফাদার নামেও পরিচিতি পেয়েছিলেন।তিনি কয়েকটি আলোচিত বইয়ের লেখক।
পূর্ণ জীবনী:
পুরো নাম : | জয়নাল আবেদীন হাজারী |
ডাকনাম | ফেনীর গডফাদার |
জন্ম | ২৪ আগস্ট ১৯৪৫ ফেনী, বাংলাদেশ |
মুক্তিযোদ্ধা | ২ নং সেক্টরের অধীনে |
বাবার নাম: | আব্দুল গণি হাজারী |
মাতা নাম | রিজিয়া বেগম |
প্রেমিক | বিজু |
বৈবাহিক অবস্থা | অবহিত |
ধর্ম: | ইসলাম |
মৃত্যু | ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ (বয়স ৭৬) ল্যাবএইড হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ |
পেশা | রাজনীতিবিদ সাংবাদিক |
রাজনৈতিক জীবন :
জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।তার অসুস্থতার জন্যে চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ত্রাণ তহবিল থেকে হাজারীকে ৪০ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা :
জয়নাল আবেদীন হাজারী ছিলেন একজন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে ২ নং সেক্টরের অধীনে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের পরামর্শে রাজনগর এলাকায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর রাজনগরে গিয়ে ওই এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে তিনি একটি সিভিল ডিফেন্স টিমও গঠন করেছিলেন।
বিতর্ক :
হাজারী ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হবার পর, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফেনীতে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়। এর জন্যে প্রতিবারই হাজারীকে সন্দেহ করা হয়। ২০০১ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৬ আগস্ট রাতে হাজারীর বাসভবনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে দল থেকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয় তাকে। চার বছর পর ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্নভাবে আলোচনায় উঠে আসেন হাজারী। তিনি আওয়ামী লীগের বাইরে ‘স্টিয়ারিং’ কমিটি নামে একটি নিজস্ব বাহিনী গড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলেন।২০১৯ সালে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন “স্টিয়ারিং কমিটি মানুষের জন্য কাজ করেছে”।
গ্রন্থতালিকা :
জয়নাল হাজারী বলছি
বাধনের বিচার চাই
বাধন আছে বিজু কোথায়