গায়েহলুদ আর বাগদান অনুষ্ঠানে সারা করিমের ডিজাইন করা পোশাক পরেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। গায়েহলুদে নীল জরির এমব্রয়ডারি করা এই লেহেঙ্গা পরেছিলেন মিমছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ফ্যাশনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ‘কমফোর্ট’। যা কিছু স্বাচ্ছন্দ্য, সেটিই হয়ে উঠছে ট্রেন্ড। এই যেমন বিয়ের দিনও কনে হাই হিল খুলে বিয়ের পোশাক আর যাবতীয় সবকিছুর সঙ্গে বেছে নিচ্ছেন স্নিকার। স্নিকার কেবল জিনস আর টি-শার্ট নয়, হালফ্যাশনে হুডির সঙ্গেও মানিয়ে যায় বেশ। এমনকি ক্যাজুয়াল ধাঁচের ব্লেজারের সঙ্গেও এটি পরে ফেলতে পারেন। আর এখন তো বিয়ের পোশাকের সঙ্গীও হয়ে পড়ছে এই জুতা। বরের তো আগে থেকেই স্নিকার পরার চল ছিল। এখন কনের পায়েও দেখা যাচ্ছে কেডস বা স্নিকার (স্পোর্টস শু)।
শুরুতে শুধু ছেলেদেরই স্নিকার পরতে দেখা যেত। কিন্তু হাল ফ্যাশনে তরুণীরাও ব্যবহার করছেন স্নিকার। এরপর এল শাড়ির সঙ্গে স্নিকার পরার চল। আর এখন কিছুদিন পর পর বর বৌয়ের স্নিকারের ফিতা বেঁধে দিচ্ছে, বিয়ের এমন ছবি ভাইরাল হচ্ছে। কনের পায়ে স্নিকার ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। সেই স্নিকারে আবার অনেক সময় দেখা যায় সোনালি জরির কাজ।
পশ্চিমা বিয়েতে স্নিকার পরার চল নতুন নয়। সাদা গাউনের সঙ্গে দিব্যি স্নিকার পায়ে ‘আই ডু’ বলেন তাঁরা। বরও তাই। সেরেনা উইলিয়ামসও তাঁর বিয়েতে পরেছিলেন টেনিস কোর্টের সঙ্গীকেই। ২৩ কোটি টাকার বিয়ের গাউনের সঙ্গে পরেছিলেন স্নিকার। বর আইটি উদ্যোক্তা জীবনসঙ্গী অ্যালেক্সিস কেরি ওহানিয়ানের পায়েও ছিল স্নিকার। কেবল সেরেনাই নন, খেলোয়াড়েরা প্রায়ই বিয়েতেও পায়ে রাখেন ক্যারিয়ারের সঙ্গী স্নিকারকেই।
বলিউড তারকা সোনাম কাপুরের জীবনসঙ্গী আনন্দ আহুজার ইনস্টাগ্রামে যদি আপনি ঘুরতে যান, তাহলে দেখবেন, সেখানে আনন্দ বা সোনমের চেয়ে স্নিকারের ছবিই বেশি। ফ্যাশন আইকন সোনমের সঙ্গে বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তিনি পরেছিলেন স্নিকার।
গাউন, লেহেঙ্গা, শাড়ি—বিয়ের পোশাক আর নিজের স্বাচ্ছন্দ্য ও রুচির সঙ্গে মিলিয়ে পরার জন্য বৈচিত্র্যময় সব স্নিকার আছে। চাইলে ফরমাশ দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন। বাজারে প্রায় সব রঙের স্নিকারের দেখা মিলবে। দু-তিন রঙের মিশেলেও পাবেন।
নকশায় আছে বৈচিত্র্য। মেয়েদের জন্য গোলাপি, লাল ইত্যাদি রঙের প্রাধান্য রয়েছে।