Image default
জীবনী

হাভিয়ের মাশ্চেরানো : আর্জেন্টিনার এক ছোট বসের গল্প

সর্বকালের সেরা কে এই নিয়ে বাগ-বিতন্ডার শেষ নেই। বাস্কেটবলে মাইকেল জর্ডান,কোবি ব্রায়ান্ট নাকি লেব্রন জেমস। টেনিসে রজার ফেদেরার নাকি রাফায়েল নাদাল। ফুটবলে একসময় ছিলো ম্যারাডোনা নাকি পেলে আর এখন মেসি নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। নাকি ভবিষ্যতে আসবে অন্য কেউ! কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন কিছু ফুটবলার আসে যাদের প্রভাব এবং সামগ্রিক দীর্ঘস্থায়ী আপিল মাপাটা আমাদের ফেলে দেয় ব্যাপক বিপদে। তাদেরকে হয়তো কখনোই গ্রেটদের কাতারে রাখা হয় না, তারা আবার কোনো এভারেজ প্লেয়ারও নন। তাদেরও থাকে কিছু ক্লাসিক মুহূর্ত, তাদের স্পর্শেও খেলায় এসেছে প্রাণবন্ততা।

হাভিয়ের মাশ্চেরানো যাকে সবাই চিনে “এল হেফেসিতো” নামে। স্প্যানিশ শব্দ ‘হেফে’ মানে হচ্ছে ‘বস’ আর ‘হেফেসিতো’ মানে ‘ছোট বস’। তাইলে বড়ো বসটা কে? লিওনার্দো আস্ট্রাডা যিনি রিভারপ্লেটের ইতিহাসের এবং আর্জেন্টাইন ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তার খেলার ধরনের সাথে মিল দেখেই মাশ্চেরানোর নাম হেফেসিতো। ডি বক্সের বাহিরে কোন ধরণের ফাউল ছাড়াই দুর্দান্ত সব ট্যাকলিং স্টাইলের জন্য ফুটবল বিশ্বে যে কয়জন ফুটবলার বিখ্যাত হয়ে থাকবেন তন্মধ্যে হাভিয়ের মাশ্চেরানো অন্যতম। তবে বার্সা ম্যানেজার পেপ গার্দিওলার অধীনে সেন্টার ব্যাকে আলো ছড়িয়েছেন উজ্জ্বলতায়। জেরার্ড পিকের সাথে রক্ষন সামালের দায়িত্বও পালন করেছেন দারুণ ভাবে।

হাভিয়ের মাশ্চেরানো
হাভিয়ের মাশ্চেরানো ; ছবি : bangla playpavilion

১৯৮৪ সালের ৮ জুন আর্জেন্টিনার স্যান লরেঞ্জো শহরে জন্মগ্রহণ করা মাশ্চেরানো ২০০১ ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ দলে সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক করেন। ২০০৩ সালে রিভার প্লেটের হয়ে জ্যেষ্ঠ পর্যায়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। ২০০৩-০৪ মৌসুমে প্লেটের হয়ে লিগ জয় করেন। রিভার প্লেটে ৪৬ ম্যাচ খেলার পরে ডাক পান ব্রাজিলিয়ান ক্লাবে করিন্থিয়াসে। ব্রাজিলীয় সিরি এ জিতার পরের মৌসুমেই যোগ দেন ইউরোপের ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম। ২০০৩-০৪ মৌসুমের শেষের দিকে অসাধারণ ফর্মে থাকাবস্থায় কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে যায়গা পান। অভিষেকের সেই টুর্নামেন্টেই কোপা আমেরিকার সেই প্রতিযোগিতায় তিনি আর্জেন্টিনার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ওয়েস্ট হ্যামে সবেমাত্র ৫ ম্যাচ খেলার পরেই ১৮.৬ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজে ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব লিভারপুলের মধ্যভাগ রক্ষণের ভার পেয়ে যান। লিভারপুলের যোগদানের প্রথম মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লিগ রানার্সআপ হন। পরবর্তীতে ২০১০ সালে ২০.৪ মিলিয়ন ইউরোতে স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনায় চলে আসেন। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় বার্সাতে কাটানোর সময়ে তিনি ১৮টি শিরোপা জয় করেন। বার্সাতে মাত্র ৮ বছরের সেই ক্যারিয়ারে তিনি ২টি চ্যাম্পিয়নস লীগ, ৫টি লা লিগা জিতে বার্সার ইতিহাসে কিংবদন্তীর যায়গা করে নিয়েছেন এই মিডফিল্ড স্পেশাল।

মেসির সাথে মাশ্চেরানো
মেসির সাথে মাশ্চেরানো ; ছবি : 24livenewspaper

নিজের ফুটবলের কারিশমা দিয়ে রার্সাকে নিজ রঙে করেছেন রঙিন। রক্ষণের এই অতন্দ্র প্রহরী বার্সার জার্সি গায়ে ২০৩টি ম্যাচ খেলে চায়না বিমান ধরে চলে আসেন হেভেই ফরচুন ক্লাবে। এর আগে মাশ্চেরানো আকাশী সাদার জার্সি গায়ে ১৪৭টি ম্যাচ খেলেন। যা জাভিয়ের জেনেত্তির ১৪৪ ম্যাচকে পেছনে ফেলে আর্জেন্টিনার পক্ষে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড। দেশের হয়ে দলকে টেনে তুলেন ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল আর ২০১৫ এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে। তবে দেশের পক্ষে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক স্বর্ণপদক ছাড়া আর্জেন্টিনাকে কোন শিরোপা জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলের রোমাঞ্চিত ম্যাচ হারের পরে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেও খেলা চালিয়ে যান চীনা ক্লাব হেবেই ফরচুনের হয়ে। হেবেই ফরচুনের মধ্যভাগ ৫৩ ম্যাচ সামলিয়ে চলে যান ডে লা প্লাটা ক্লাবে। এখান থেকে তিনি চলতি মৌসুমের মধ্যে সময়েই যেকোনো ধরনের ফুটবল থেকে নিজের বুট তুলে রাখার সিদ্বান্ত নেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার

রিভার প্লেট (২০০৩–০৫)

রিভার প্লেটের যুব একাডেমী থেকে তার উদ্ভব ঘটেছে। তবে ক্লাবের হয়ে অভিষেকের পূর্বেই তিনি আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৩–০৪ মৌসুমে রিভার প্লেটের হয়ে তিনি ক্লাউসুরা চ্যাম্পিয়নশীপ জেতেন। ২০০৪ সালে কোপা লিবার্তাদোরেসের সেমি-ফাইনালে পৌছালেও চির প্রতিদ্বন্দ্বি বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে পেনাল্টিতে পরাজিত হয় রিভার প্লেট।

হাভিয়ের মাশ্চেরানো
কোপা লিবার্টাডোরস ২০০৫ এর কলম্বিয়ান জুনিয়রের বিপক্ষে খেলার সময় ; ছবি : footballersborntoday

এই সময় রিয়াল মাদ্রিদ এবং দেপর্তিভো লা করুনিয়ার মত বিভিন্ন ক্লাব মাশ্চেরানোর সাথে চুক্তি সাক্ষর করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু রিভার প্লেট সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।২০০৪–০৫ মৌসুম রিভার প্লেটের ভাল কাটেনি। তারা আপারতুরা চ্যাম্পিয়নশীপে তৃতীয় এবং ক্লাউসুরা চ্যাম্পিয়নশীপে দশম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে। কোপা লিবার্তাদোরেসের সেমি-ফাইনালে এই মৌসুমেও পরাজিত হয় তারা। এবার পরাজিত হয় সাও পাওলোর বিপক্ষে।জার্মানিতে ২০০৫ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের পর ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ব্রাজিলীয় ক্লাব করিন্থিয়ান্সে যোগ দেন মাশ্চেরানো।

করিন্থিয়ান্স (২০০৫–০৬)

ব্রাজিলীয় সিরি এ শুরু হয় এপ্রিল থেকে, ফলে মাশ্চেরানো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে করিন্থিয়ান্সে যোগ দেন। দলের হয়ে নয়টি খেলায় অংশগ্রহণের পর, ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি পায়ের ইনজুরিতে আক্রান্ত হন, ফলে মৌসুমের অবশিষ্ট সময় তাকে মাঠের বাহিরে কাটাতে হয়। জাতীয় দলের ডাক্তারদের দ্বারা অস্ত্রোপচারের উদ্দেশ্যে তিনি পুনরায় আর্জেন্টিনায় চলে যান। তবুও, করিন্থিয়ান্স ২০০৫ সিরি এ চ্যাম্পিয়নশীপে বিজয়ী হয়।

সব মিলিয়ে, মাশ্চেরানো ছয় মাস মাঠের বাহিরে ছিলেন। ২০০৬-এর ৫ মার্চ তিনি ফিরে আসেন। ২০০৬ কোপা লিবার্তাদোরেসে মাশ্চেরানোকে ছাড়াই অংশগ্রহণ করে করিন্থিয়ান্স, অবশ্য রাউন্ড অব ১৬-এ তিনি ফিরে আসেন। তবে রিভার প্লেটের বিপক্ষে হেরে করিন্থিয়ান্সকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়। ২০০৬ ব্রাজিলীয় সিরি এ খারাপভাবে কাটে করিন্থিয়ান্সের। এমনকি এক পর্যায়ে তাদের অবনমন এড়ানোর জন্য লড়তে হয়। জুনে, ২০০৬ বিশ্বকাপের জন্য লীগ মৌসুম সাময়িক বিরতি দেওয়া হয়।

করিন্থিয়ান্স এ হাভিয়ের মাশ্চেরানো
করিন্থিয়ান্স এ হাভিয়ের মাশ্চেরানো ; ছবি : gazetaesportiva

যদিও তার নৈপূন্য ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে, অবনমন শঙ্কা এড়াতে সাহায্য করার জন্য তিনি করিন্থিয়ান্সেই থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং জানুয়ারি পর্যন্ত স্থানান্তর স্থগিত করেন। অবশ্য, ২০০৬ গ্রীষ্মকালীন স্থানান্তরের সময়সীমা শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানিক পূর্বেই কার্লোস তেবেসের সাথে তিনিও অপ্রকাশিত অর্থের বিনিময়ে ইংরেজ দল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে যোগ দেন।

ওয়েস্ট হ্যাম (২০০৬–জানুয়ারি ২০০৭)

২০০৬-এর গ্রীষ্মে, মাশ্চেরানো স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু অবশেষে তিনি প্রিমিয়ার লীগের দল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে যোগ দেন। বংশবৃতান্তের কারণে মাশ্চেরানোর একটি ইতালীয় পাসপোর্টও রয়েছে।তার ওয়েস্ট হ্যামে যোগদান ছিল বিস্ময়কর, যেহেতু পুরো গ্রীষ্ম জুড়ে তিনি ইউরোপের বড় বড় কিছু দলের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া তার এই যোগদান নিয়ে অসংখ্য গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

মাশ্চেরানোর যোগদানের পূর্বে, ওয়েস্ট হ্যাম একটি খেলায় জয় লাভ করে, একটি খেলায় ড্র করে এবং একটি খেলায় পরাজিত হয়। তার যোগদানের পর ক্লাবের অধঃপতন ঘটে। তারা পরবর্তী নয় খেলায় একটিতে ড্র করে এবং আটটিতে পরাজিত হয়। অবশেষে ২৯ অক্টোবর একটি খেলায় তারা জয় লাভ করে। ওয়েস্ট হ্যামে থাকাকালে তিনি খুব কমই দলে জায়গা পেয়েছেন। অক্টোবরে, আর্জেন্টিনীয় কোচ আলফিয়ো বাসিল ঘোষণা করেন, “মাশ্চেরানোর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওয়েস্ট হ্যাম ছেড়ে দেওয়া উচিত। এবং আমি আশা করি যে সে জুভেন্তাসে যাবে।

ওয়েস্ট হ্যাম এ হাভিয়ের মাশ্চেরানো
ওয়েস্ট হ্যাম এ হাভিয়ের মাশ্চেরানো ; ছবি : pinterest

২০০৭ সালের ১৬ জানুয়ারি, মাশ্চেরানোকে ধারে নেওয়ার জন্য লিভারপুল ফিফার কাছে তার সাফাই আবেদন করে। কিন্তু ফিফার আইন অনুযায়ী কোন খেলোয়াড় ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দুইটির বেশি দলের হয়ে খেলতে পারবে না। মাশ্চেরানো ঐ মৌসুমে করিন্থিয়ান্স এবং ওয়েস্ট হ্যামের হয়ে খেলে। ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি ফিফা এই লেনদেন অনুমোদন করে। অবশ্য, স্থানান্তরের সময়সীমা শেষ হওয়ার কিছুক্ষন আগে লিভারপুল মাশ্চেরানোর নিবন্ধন বিবরণ দাখিল করে। ফলে প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ তাত্‍ক্ষনিকভাবে ঘোষণা করেননি যে মাশ্চেরানো লিভারপুলের হয়ে খেলবেন কিনা।

২ মার্চ, ঘোষণা করা হয় যে প্রিমিয়ার লীগ ওয়েস্ট হ্যামকে তৃতীয় পক্ষ মালিকানার প্রভাবে বি১৩ আইন ভঙ্গের দায়ে জরিমানা করতে যাচ্ছে। ২৭ এপ্রিল, প্রিমিয়ার লীগ ওয়েস্ট হ্যামকে ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করে, যা ছিল একটি বিশ্ব রেকর্ড।

লিভারপুল (ফেব্রুয়ারি ২০০৭–২০১০)

২০০৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, লিভারপুল তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ স্কোয়াডে মাশ্চেরানোকে যুক্ত করে এবং তাকে ২০ নম্বর জার্সি দেওয়া হয়। অবশেষে, ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ মাশ্চেরানোকে লিভারপুলে নিবন্ধনের আবেদন মঞ্জুর করলে, তার লিভারপুলে স্থানান্তর দাপ্তরিক বৈধতা পায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি, শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাশ্চেরানোর অভিষেক হয়। খেলায় লিভারপুল ৪–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। খেলা শেষে লিভারপুল ম্যানেজার রাফায়েল বেনিতেজ এবং অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড তার প্রশংসা করেন।

মন্সটার অফ এ প্লেয়ার
লিভারপুল এ হাভিয়ের মাশ্চেরানো (মন্সটার অফ এ প্লেয়ার) ; ছবি : thesun

৩১ মার্চ, আর্সেনালের বিপক্ষে খেলার পর বেনিতেজ মাশ্চেরানোকে “মন্সটার অফ এ প্লেয়ার (Monster of a player)” নামকরণ করেন। একইভাবে তার সতীর্থরাও তার প্রতি মুগ্ধ হন। তার সম্পর্কে শাবি আলোনসো বলেন, “মাঠে তার মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। প্রতি মূহুর্তে সে খেলা সম্পর্কে চিন্তা ও বিশ্লেষণ করে। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাশ্চেরানোর অভিষেক হয় ৩ এপ্রিল, পিএসভি আইন্দোভেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের খেলায়। খুব তাড়াতাড়ি দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নেয়ায়, ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে মিলানের বিপক্ষে খেলতে নামেন মাশ্চেরানো। তিনি এবং তার সতীর্থ আলোনসো খেলার অধিকাংশ সময়েই সফলভাবে ক্ল্যারেন্স সিডর্ফ এবং কাকার মত খেলোয়াড়দের আক্রমণ দমিয়ে রাখেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত জয়ের স্বাদ পাননি তারা। খেলায় মিলান ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। তিনি লিভারপুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সমর্থকদের ভোটে লিভারপুলের পক্ষে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি, মাশ্চেরানো লিভারপুলের সাথে চার বছর মেয়াদী স্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় লিভারপুল ১৮.৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। ২০০৮ সালের ১৫ মার্চ, রেডিং-এর বিপক্ষে মাশ্চেরানো তার প্রথম প্রিমিয়ার লীগ গোল করেন। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া দূর্দান্ত এক শটে তিনি এই গোল করেন। ২০০৯ সালের ২৯ নভেম্বর, এভারটনের বিপক্ষে ২–০ গোলে জয় পায় লিভারপুল।

হাভিয়ের মাশ্চেরানো
লিভারপুল তারকা হাভিয়ের মাশ্চেরানো ; ছবি : mirror

মাশ্চেরানোর ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে খেলার প্রথম গোলটি হলেও, বল জালে জড়ানোর পূর্বে এভারটন ডিফেন্ডার ইয়োসেপ ইয়োবোর পায়ে সামান্য স্পর্শ করে। ফলে গোলটিকে দাপ্তরিকভাবে ওন গোল ধরা হয়। ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর, পোর্টস্মাউথের বিপক্ষে পোর্টস্মাউথ ডিফেন্ডার তাল বেন হেইমকে খারাপভাবে আঘাত করায় মাশ্চেরানোকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। পরে নিশ্চিত করা হয় যে তাকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ এটি ছিল মৌসুমে তার দ্বিতীয় লাল কার্ড। শেষ পর্যন্ত খেলাটিতে লিভারপুল ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয় । প্রিমিয়ার লীগের ২০০৯–১০ মৌসুমে মাশ্চেরানোর সবচেয়ে বাজে শাস্তিমূলক রেকর্ড ছিল ৭টি হলুদ কার্ড ও ২টি লাল কার্ড । মৌসুমে তিনি প্রথম গোল করেন ইউরোপা লীগের ইউনিরেয়া আর্জিসেনির বিপক্ষে। খেলায় লিভারপুল ৩–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের বিরতির পর, ২৭ জুলাই, মাশ্চেরানো লিভারপুল ম্যানেজার রয় হজসনকে জানান যে তিনি ক্লাব ছাড়তে চান। লিভারপুল সমর্থকদের কাছে মাশ্চেরানো শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। বার্সেলোনার হয়ে ২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জেতার পর মাশ্চেরানো সরাসরিভাবে বলেন, “আমি জানি কিছু লিভারপুল সমর্থক আমার প্রস্থানের পর নিরাশ হয়েছিল, তারা আমার প্রতি সামান্য দুঃখিতও ছিল, কিন্তু এটা তাদের জন্য। ২৭ আগস্ট, লিভারপুল ঘোষণা করে যে তারা বার্সেলোনার সাথে একটি স্থানান্তর ফিতে রাজি হয়েছে এবং মাশ্চেরানোকে স্পেনীয় ক্লাবটির সাথে কথা বলার অনুমতি দিয়েছে।

২০০৮ – এর ওল্ড ট্রাফোর্ডের ঘটনা

২০০৮ এর ২৩ মার্চ, ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে নিজের প্রথম খেলায় দুটি হলুদ কার্ড দেখে মাশ্চেরানোকে মাঠ ছাড়তে হয়। ম্যান ইউ মিডফিল্ডার পল স্কোল্‌সকে ট্যাকল করার কারণে তাকে প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখানো হয়। সতীর্থ ফের্নান্দো তোরেসকে রেফারি স্টিভ বেনেট হলুদ কার্ড দেখালে এর প্রতিবাদে মাশ্চেরানো রেফারির দিকে তেড়ে যান, ফলে তাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হয়। স্টিভেন জেরার্ড এবং শাবি আলোনসো তাকে মাঠের বাহিরে নিয়ে যান। ম্যানেজার রাফায়েল বেনিতেজকেও ডাগ আউট ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়। দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মাশ্চেরানোর অসদাচরণের জন্য তাকে পরবর্তী এক খেলার পরিবর্তে তিনটি খেলায় নিষিদ্ধ করে । মাশ্চেরানো অসদাচরণের কারণে তার উপর করা দন্ডাদেশ মেনে নিলেও, পরবর্তী দুই থেকে তিনটি খেলার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপীল করেন। এই আপীল ফুটবল অ্যাসোসীয়েশন কর্তৃক খারিজ করা হয়। এছাড়া মাশ্চেরানোকে ১৫,০০০ ইউরো জরিমানা করা হয়। তিনি দাবি করেন যে এই জরিমানার অর্থ যেন দানকার্যে ব্যয় করা হয়।

মাশ্চেরানো অসদাচরণের কারণে হলুদ কার্ড দেখানো হয়
মাশ্চেরানো অসদাচরণের কারণে হলুদ কার্ড দেখানো হয় ; ছবি : eurosport

এই বিতর্কিত ঘটনার পরও ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, আনফিল্ডে ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিভারপুলের খেলায় মাশ্চেরানো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। খেলায় লিভারপুল ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। যদিও খেলার শুরুতেই তিনি স্বদেশী কার্লোস তেবেসকে থামাতে ব্যর্থ হন এবং তেবেস ইউনাইটেডের পক্ষে গোল করেন। অবশ্য লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলে সহায়তা করে মাশ্চেরানো তার এই ব্যর্থতা সংশোধন করেন। লিভারপুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সমর্থকদের ভোটে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মাশ্চেরানো।

বার্সেলোনা (২০১০–২০১৮)

২০১০ সালের ২৮ আগস্ট, বার্সেলোনার সাথে চার বছরের চুক্তির শর্তাবলী মেনে নেন মাশ্চেরানো। ২৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এই চুক্তি করে বার্সেলোনা। ৩০ আগস্ট, মাশ্চেরানো মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং বার্সেলোনায় তার স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন।

ক্যারিয়ারের দীর্ঘতম সময় কাটিয়েছেন বার্সেলোনার হয়েই
ক্যারিয়ারের দীর্ঘতম সময় কাটিয়েছেন বার্সেলোনার হয়েই; ছবি : Laurence Griffiths

২০১০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, লা লিগায় মাশ্চেরানোর অভিষেক হয়। হারকিউলিসের বিপক্ষে ঐ খেলায় ঘরের মাঠে ০–২ ব্যবধানে পরাজিত হয় বার্সা। ১৬ মাসের মধ্যে এটি ছিল ক্যাম্প ন্যুতে তাদের প্রথম পরাজয়। মৌসুমের প্রথম ভাগে অধিকাংশ খেলাতেই বদলি হিসেবে নামেন মাশ্চেরানো, কিন্তু শেষ দিকে এসে তিনি একজন সেন্ট্রাল ব্যাকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের ২৮ মে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হেরার্দ পিকের সাথে সেন্ট্রাল ব্যাক হিসেবে খেলতে নামেন মাশ্চেরানো। খেলায় বার্সেলোনা ৩–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। মাশ্চেরানো এই জয় লিভারপুল সমর্থকদের উত্‍সর্গ করেন।

মাশ্চেরানো
মাশ্চেরানো এই জয় লিভারপুল সমর্থকদের উত্‍সর্গ করেন ; ছবি : coxsbazarjournal

বার্সেলোনায় নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে প্রায় একচেটিয়াভাবে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন মাশ্চেরানো। তিনি দলের রক্ষনভাগের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন।

২০১২ সালের ২৬ জুলাই, মাশ্চেরানো বার্সেলোনার সাথে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

মাশ্চেরানোর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ২০০১ সালে। ঐ বছর ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দল চতুর্থ হয়। যুব স্তরে মাশ্চেরানোর এতটাই প্রভাব ছিল যে রিভার প্লেটের মূল দলে অভিষেকের পূর্বেই আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয় (কারণ, ক্লাবে তার অবস্থান ছিল সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে এবং রিভার প্লেটে সেই অবস্থান ধরে রেখেছিলেন দলের দীর্ঘদিনের অধিনায়ক লিওনার্দো আস্ত্রাদা)। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার এই অভিষেক হয় ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই উরুগুয়ের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায়। ২০০৩–০৪ আপের্তুরা (উদ্বোধনী) চ্যাম্পিয়নশিপের মাঝামাঝি সময়ে ২০০৩ ফিফা বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আর্জেন্টিনা দলে ডাক পান মাশ্চেরানো। এই প্রতিযোগিতায়ও আর্জেন্টিনা চতুর্থ হয়। দূর্দান্ত নৈপূন্য প্রদর্শন করেন মাশ্চেরানো। অবশ্য তৃতীয় স্থান বাছাইয়ের প্লে-অফে তিনি সাসপেন্ড হন।

২০০৪ এর জানুয়ারিতে, চিলিতে অনুষ্ঠিত আমেরিকান প্রি-অলিম্পিকো প্রতিযোগিতার জন্য তিনি আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলে যোগ দেন মাশ্চেরানো। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা জয় লাভ করে এবং ২০০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌সে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করে। আগস্টে, মাশ্চেরানো এবং তার দল গ্রীসে স্বর্ণপদক বিজয়ীতে পরিণত হয়।

সেই মহাকাব্যিক ট্যাকল
সেই মহাকাব্যিক ট্যাকল ; ছবি : Adrian Dennis

২০০৩–০৪ মৌসুমের শেষে, মাশ্চেরানোক ২০০৪ কোপা আমেরিকার জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলে জায়গা দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে পরাজিত হয়। অবশ্য মাশ্চেরানো তার সতীর্থদের ভোটে প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

পরের বছর, জার্মানিতে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণ করেন মাশ্চেরানো। এখানেও ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৪–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয় আর্জেন্টিনা।

২০০৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রতিটি খেলার প্রত্যেকটি মিনিট মাঠে কাটিয়েছেন মাশ্চেরানো। অবশ্য কোয়ার্টার-ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে আর্জেন্টিনা।

২০০৭ সালের জুলাইয়ে, কোপা আমেরিকায় মাশ্চেরানো দুইটি গোল করেন। এগুলোই ছিল সিনিয়র দলের হয়ে তার প্রথম দুই গোল। প্রতিযোগিতায় তার দূর্দান্ত নৈপূন্যের কারণে তারকা সমৃদ্ধ আর্জেন্টিনা দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ব্যপকভাবে বিবেচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের ৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলায় মাশ্চেরানো জাতীয় দলের হয়ে প্রথম লাল কার্ড দেখেন। খেলায় তিনি প্রথম হলুদ কার্ড দেখার পর ৮৬তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়।

একজন মাশ্চেরানোকে খুঁজবে সবাই;
একজন মাশ্চেরানোকে খুঁজবে সবাই ; ছবি : Jamie Squire

২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য আর্জেন্টিনা দলে তেইশোর্ধ্ব খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে জায়গা পান মাশ্চেরানো। আর্জেন্টিনা ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করে। এতে করে, মাশ্চেরানো একমাত্র আর্জেন্টিনীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে দুইটি স্বর্ণপদক জিতার রেকর্ড গড়েন । ২০০৮ সালের নভেম্বরে, আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন দিয়েগো মারাদোনা। মারাদোনা ঘোষণা করেন যে তিনি মাশ্চেরানোকে দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান। মাশ্চেরানো মারাদোনার প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং ১০ নভেম্বর আর্জেন্টিনার নতুন অধিনায়ক হিসেবে হাভিয়ের জানেত্তির স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১০ বিশ্বকাপে, অধিনায়ক মাশ্চেরানোর অধীনে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত পৌছায় এবং সেখানে জার্মানির বিপক্ষে ৪–০ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়।

মাশ্চেরানোর পুরো ক্যারিয়ারের অর্জন সমূহ

রিভার প্লেট – প্রিমেরা দিভিশন আর্জেন্টিনা : ২০০৩–০৪ ক্লাউসুরা

করিন্থিয়ান্স- ক্যাম্পিয়োনাতো ব্রাজিলেইরো সিরি এ : ২০০৫

লিভারপুল- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ : রানার-আপ ২০০৬–০৭

বার্সেলোনা-

লা লিগা : ২০১০–১১, ২০১২–১৩, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮

কোপা দেল রে : ২০১১–১২; ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮

স্পেনীয় সুপার কাপ : ২০১১, ২০১৩, ২০১৬

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ : ২০১০–১১, ২০১৪-১৫

ইউরোপীয়ান সুপার কাপ : ২০১১,২০১৫

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ  : ২০১১, ২০১৫

আন্তর্জাতিক- অলিম্পিক স্বর্ণপদক: ২০০৪, ২০০৮

ফিফা বিশ্বকাপ – রানার-আপ: ২০১৪

কোপা আমেরিকা – রানার-আপ: ২০০৪, ২০০৭, ২০১৫, ২০১৬

মাশ্চেরানো সব অর্জন
হাভিয়ের মাশ্চেরানোর সব অর্জন ; ছবি : vikramroymehta

মাশ্চেরানো ফুটবলকে বিদায় জানালেও ফুটবল বিশ্ব সুনিশ্চিত ভাবেই স্বরণ করবে আর্জেন্টিনা এবং বার্সার এই সাবেক খেলোয়াড়কে। স্বরণ করবে মধ্যভাগে হার না মানা এই অদম্য যোদ্ধাকে। স্বরণ করবে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যভাগের ফুটবলাররা; আর তা মাশ্চেরানোকে আদর্শ হিসেবেই। ম্যারাডোনা মাশ্চেরানো সম্পর্কে একবার বলেন, ” আমার কাছে জাতীয় দল মানে একজন মাশ্চেরানো আর বাকি ১০জন খেলোয়াড়!

Related posts

জাকিয়া বারী মম ‘র জন্ম, পেশা, উচ্চতা, দাম্পত্য সঙ্গী, জীবনী, তথ্য প্রোফাইল

News Desk

কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী

জাহিদ হাসান

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের অজানা কিছু তথ্য

News Desk

Leave a Comment