২৩ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে র্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড প্রযোজিত বাংলা সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’। ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটির অফিসিয়াল পোস্টার উন্মোচন করা হয়। পোস্টার উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, এমপি এবং র্যাব ফোর্সেসের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, বিপিএম (বার), পিএসসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনেমার অভিনয়শিল্পী রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, জিয়াউল রোশন, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ।
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে খ্যাত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। জীব বৈচিত্রের এক অপরুপ নিদর্শন সুন্দবন। সুন্দরবন আমাদের অহংকার ও গর্বের প্রতীক, যা আমাদেরকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই বনভূমিতে জলদস্যুদের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। প্রাচীনকাল থেকেই মগ, হার্মাদ ও ফিরিঙ্গিদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে মাছ ও লবন ব্যবসায়ীদের। যুগে যুগে এই নিরীহ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ সপে দিতে হয়েছে দস্যুদের হাতে। যশোরের রাজা প্রতাপ আদিত্যের নৌ-বাহিনীর প্রধান ওলন্দাজ সেনাপতি লড়েছিলেন এই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে। কালের চক্রে জলদস্যুদের ভয়াবহতা আরো বেড়ে যায় সুন্দরবনে। একসময় জলদস্যুদের হাতে আধুনিক অস্ত্র এলে ভয়ংকর রুপ ধারণ করে দস্যুতা। সুন্দরবনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষা, মৎস্য ও বনজ সম্পদের সংরক্ষণ সর্বোপরি সুন্দরবনকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে ২০১২ সালে র্যাব ফোর্সেসকে লিড এ্যাজেন্সি করে তৈরি হয় টাস্কফোর্স।
প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও দিকনির্দেশনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও র্যাবের পেশাদার কর্মতৎপরতায় ও আভিযানিক চাপে ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। ফলে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন।
সুন্দরবনে র্যাবের এই সাফল্যগাথার রোমাঞ্চকর উপাখ্যান জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক দীপংকর দীপনের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকশন থ্রিলার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’। চলতি বছরের ২৯ জুলাই সিনেমার ট্রেলার উন্মোচন হয়। এটিই বাংলাদেশের সুন্দরবন নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ।
সিনেমায় গান গেয়েছেন বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া, পান্থ কানাই, হাবিব ওয়াহিদ, ইমরান, কনা, মিজান ও নন্দিতা। দেশের লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রত্যয়ে সুন্দরবন এলাকার লোক সংস্কৃতি পটের গানকেও যুক্ত করা হয়েছে এই সিনেমায়।