শেষ মুহূর্তে বদলে গেল কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠানের ভেন্যু। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে তাঁর গাওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে তাই ভেন্যু বদল করতে হলো আয়োজকদের। জাতীয় জাদুঘরের বদলে কবীর সুমন আজ গাইবেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে। জায়গা পরিবর্তনের কারণে অনুষ্ঠানের সময়সূচিও নড়চড় হচ্ছে। দুপুর ২টায় শুরু অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও ১৫, ১৮ ও ২১ তিন দিনের অনুষ্ঠানের জন্য ৩টা ৩৫ মিনিটে গেট খোলা হবে, অনুষ্ঠান শুরু হবে সাড়ে ৪টায়। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। ঢাকায় কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে পিপহোল। গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ফুয়াদ বিন ওমর বলেছেন, ‘ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনুষ্ঠানের সময়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। পূর্বনির্ধারিত সময়ের কিছু পরে অনুষ্ঠান শুরু করব। অনুষ্ঠানে আমরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করছি না।
আমাদের নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করছি। তাই সাউন্ড সিস্টেমের কোনো জটিলতা হবে না বলে আশা করছি। অনুষ্ঠানের দিন ভেন্যুতে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না।’
কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমনের প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’-এর ৩০ বছর পূর্তি হলো এ বছর। এ উপলক্ষে ঢাকায় গাওয়ার কথা সুমনের। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁর অনুষ্ঠানটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় জাদুঘর একটি কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) হওয়ায় সেখানে এ ধরনের অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। তবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আজ ও ২১ অক্টোবরের অনুষ্ঠানে সুমন গাইবেন আধুনিক বাংলা গান। আর ১৮ অক্টোবরের অনুষ্ঠানটি রাখা হয়েছে বাংলা খেয়ালের জন্য। কয়েক বছর ধরে কবীর সুমন বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর বিশেষ আগ্রহেই খেয়ালের অনুষ্ঠানটি রাখা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় কবীর সুমন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বাংলাদেশে বসে গাইব। আমার বয়স প্রায় ৭৪। এখনও যে এই বুড়োর গান শোনার জন্য মানুষের এত আগ্রহ, এটা আনন্দ দেয়। আগ্রহী দর্শকদের বেশিরভাগই তরুণ, এটাও আমার জন্য খুব আনন্দের।’