তরুণ গায়ক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় মুখ তাসরিফ খান ফেসিয়াল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে তাঁর মুখের এক পাশে বাঁকা হয়ে গেছে। গত রোববার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন তিনি। এরপর গতকাল এক ফেসবুক লাইভে ভক্তদের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক লাইভে তাসরিফ লেখেন ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছি। আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না, সম্ভব হলে দোয়া করবেন।’
এর আগে তাসরিফ লিখেন, ‘হঠাৎ করেই আমি ফেসিয়াল প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছি। এই রোগে অনেক সময় মুখের এক পাশ বাঁকা হয়ে যায়। আমার মুখ এখনো বড় রকমের বাঁকা হয়নি তবে এখন যে অবস্থায় আছি এটা খুব নরমাল কোনো অবস্থা নয়। কেন হয়েছে তার কারণ এখনো জানি না। ডাক্তার দেখানোর পর হয়তো এই ব্যাপারে পুরোপুরি জানতে পারব। আগামীকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসার্ট টি হতে পারে এই মাসের শেষ কনসার্ট। কবে নাগাদ আবার স্বাভাবিক হয়ে কাজে ফিরতে পারব এখনো জানি না, তবে সবাই দোয়া করলে হয়তো দ্রুত সুস্থ হয়ে যাব ইনশা আল্লাহ। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
অসুস্থতার বর্ণনা দিয়ে তাসরিফ বলেন, ‘মুখের একপাশ কিছুটা বেঁকে গেছে। তিন দিন আগেই বিষয়টা খেয়াল করি। যদিও সামনে থেকে সহজে এটা বোঝা যায় না। কিন্তু কথা বলার সময় বোঝা যায়। ডাক্তার জানিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। অল্প কিছু মানুষকে রোগটা বয়ে বেড়াতে হয়। এখন দেখা যাক কী হয়। আপাতত ফিজিওথেরাপি নিতে হবে আর কিছু ওষুধ চলবে।’
এ দিকে অসুস্থতায় গানবাজনায় বিরতি হলেও একেবারে বসে থাকার অবকাশ নেই তাসরিফের। কারণ, মানবিক কাজেও সব সময় তাঁকে পাওয়া যায়। তিনি জানালেন, ভোলার এক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের কথা দিয়েছিলেন। সেই কাজে শিগগিরই ভোলায় যেতে হবে তাঁকে।
বিষয়টি নিয়ে তাঁর ভাবনা সম্পর্কে তিনি জানান, ‘ওই মানুষটা তো আমার চেয়েও অসুস্থ। তাই যেহেতু কথা দিয়েছি, তার চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড়ের কাজটা করব।’
উল্লেখ্য, তাসরিফ খান ‘কুঁড়েঘর’ নামের একটি গানের দল পরিচালনা করেন। তরুণ শ্রোতামহলে গানের দলটি ভালো পরিচিতি পেয়েছে। গেল বছর সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যার সময়ে ত্রাণ সহায়তায় কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন এই তরুণ।