ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বাসায় বিদেশি অনেক ব্র্যান্ডের মদ, ইয়াবার পাশাপাশি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড) এবং আইসও (ক্রিস্টাল মেথ) পাওয়া গেছে। এ মাদক উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানদের সেবনের প্রবণতা বেশি।
রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় র্যাবের অভিযানে এসব মাদক জব্দের কথা জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের’ ভিত্তিতে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ওই বাসায় অভিযানে যায় র্যাব। পরে সন্ধ্যায় পরীমনিকে আটক করা হয়। যেসব অভিযোগ রয়েছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পরীমনিকে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, পরীমনির বাসার যাবতীয় আসবাবে থরে থরে সাজানো বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। বিদেশি ব্র্যান্ডের যত ধরনের মদ আছে প্রায় সবই সেখানে মিলেছে। ফ্রিজভর্তি ছিল নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ। এর পাশাপাশি এই নায়িকার বাসায় মিলেছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবাও। এমনকি সেখানে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি-আইসও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ মাদক কারবারে কয়েকটি চক্র ও উচ্চবিত্ত ঘরের কিছু তরুণ গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যেই এ ধরনের মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
এর আগে র্যাবের অভিযান দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। পরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি রাজধানী থেকে পিয়াসা ও মৌ নামে দুই মডেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বাসায় বিপুল মাদক ও ইয়াবা পাওয়া গেছে।