টিভি সিরিয়াল দিয়ে অভিনয় শুরু বিক্রান্ত ম্যাসির। ২০০৭ থেকে ১৩—এই ছয় বছর শুধু টিভিতেই কাজ করে গেছেন। খ্যাতিও পেয়েছেন। ‘লুটেরা’ দিয়ে প্রথম সিনেমায় অভিনয় বিক্রান্তের। ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত বলিউডে কাজ করছেন তিনি। প্রতি বছরই একাধিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তবে বিক্রান্ত ম্যাসি ব্যাপক সাফল্য পান গত বছর।
বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘টুয়েলভথ ফেল’ দিয়ে সবার মন জয় করে নেন। এ বছর তাঁর অভিনীত ‘ফির আয়ি হাসিন দিলরুবা’, ‘সেক্টর ৩৬’ ও ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ও প্রশংসিত হয়েছে। বলিউডে যখন বিক্রান্তকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ নির্মাতাদের মধ্যে, তখনই হঠাৎ এক সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে চমকে দিলেন। আজ ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা দিয়ে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন বিক্রান্ত ম্যাসি। জানিয়ে দিলেন, ২০২৫ সালের পর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেবেন তিনি।
বিক্রান্ত লিখেছেন, ‘গত কয়েকটা বছর দুর্দান্ত কেটেছে। এত উৎসাহ ও সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। জীবন চলার পথে বুঝেছি, এবার নতুন করে শুরুর ও বাড়ি ফেরার সময় এসেছে। স্বামী হিসেবে, বাবা হিসেবে, সন্তান হিসেবে। আর অবশ্যই একজন অভিনেতা হিসেবে। তাই আগামী ২০২৫ সালে আমাদের শেষবার দেখা হবে। যতদিন না সঠিক সময় আসছে। হাতে আছে শেষ দুটো সিনেমা আর অনেক বছরের স্মৃতি।’
বিক্রান্ত ম্যাসে এখন দুটি সিনেমার কাজ করছেন ‘ইয়ার জিগরি’ ও ‘আখো কি গুস্তাখিয়া’। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ দুই সিনেমার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন অভিনেতা। হঠাৎ তাঁর এমন ঘোষণায় ভক্তরা বিভ্রান্ত। ক্যারিয়ারের গ্রাফ যখন তুঙ্গে, তখন অভিনয় থেকে বিরতির সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছেন বিক্রান্ত! ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
বিক্রান্ত ম্যাসি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তবে আলাপের উল্টোপিঠও আছে। অনেকেই সন্দেহ করছেন, বিক্রান্তের এ ঘোষণার হয়তো অন্য দিক আছে। হতে পারে কোনো ব্র্যান্ড বা সিনেমার প্রচারের কৌশল। প্রায়ই তো এমন হয়, সেলিব্রিটিরা এমন সব ঘোষণা দেন, যাতে তাজ্জব বনে যান দর্শকেরা। পরে দেখা যায়, কোনো পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্যই এমনটা করেছেন তাঁরা। বিক্রান্তের এই বিরতির ঘোষণাও শেষ পর্যন্ত সে কৌশলে রূপ নেবে কিনা, সময়ই বলবে। তবে সত্যিই যদি তা হয়, তাহলে বিক্রান্তভক্তদের জন্য সেটা হবে স্বস্তির খবর।