চলমার করোনাকালে অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছেন কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ভোকালিস্ট তাসরিফ খান। সাস্প্রতি এই কন্ঠশিল্পীর ‘মধ্যবিত্ত’ শিরোনামের এই গানটি কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই গানটি ছন্দ আর সুরে একাকার হয়ে গানের লাইন হয়ে গিয়েছে, কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্বের মধ্যবিত্তের মুখের কথাই রয়েছে এই গানটিতে।
গত বছর তাসরিফ খান ‘ডাক্তার ও ডাক্তার’ শিরোনামে একটি গান ডাক্তারদের উৎসর্গ করে বের করেছিলেন। গানটি লাখো ডাক্তারের স্বতঃস্ফূর্ত শেয়ারিং এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
তবে এবার তাসরিফের এক ভিন্ন উদ্যোগ। এবার আর তিনি ঘরে বসে থাকতে রাজি নন। যদিও এর আগে তিনি ‘ইচ্ছা পূরণ’ নামে একটা স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম করে প্রকাশ্যে সরাসরি সামাজিক কাজে যুক্ত হোন। তারপর ‘মধ্যবিত্ত’ গানের ঠিক শেষেই অসহায়দের জন্য সকলের কাছে অর্থনৈতিক সাহায্য আহ্বান করেন। যার থেকে তিনি নিজে বাজার করে পৌঁছে দিবেন, মুখ ফুটে বলতে না পারা মানুষের নিকট।
এ বিষয়ে তাসরিফ খান প্রত্যাশিত আলোকে বলেন, সমাজের এ অবস্থায় আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, সামান্য অবদান রাখার। আমার কার্যক্রম কতটা বৃহৎ হবে তা নির্ভর করে আপনাদের উপর। আপনাদের সাহায্য মিডিয়ার দায়িত্ব পালন করে আমি পৌঁছে দিব অসহায়, দুস্থ মানুষের নিকট।
এই কন্ঠ শিল্পী তার ফেইজবুকে লেখেন, নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের টিম। আমাদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। আজ ২৮শে এপ্রিল আমরা প্রথম ধাপে ২০০ পরিবারের কাছে অন্তত ১০দিনের খাবার পৌছে দেব এবং এই রোজার ঈদ পর্যন্ত চলতে থাকবে আমাদের কার্যক্রম। যারা ইতিমধ্যে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং যারা সামনেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাদের সবাইকে মন থেকে ভালোবাসা।
সর্বশেষ তথ্যমতে, প্রজেক্টটি ঘোষণার ৪ দিনের মধ্যেই প্রায় ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি অনুদান জমা পড়েছে। তবে ইতোমধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম আপাদত ঈদ পর্যন্ত চালানোর আশা থাকলেও মানুষের সর্বাত্মক সাহায্য পেলে করোনাকালীন সময়ের শেষ দিন পর্যন্ত এভাবে পাশে থাকবে বলে জানান এই কন্ঠ শিল্পী।
তাসরিফ খান ও তার টিমের এ ধরনের কার্যক্রমকে সামাজিক বিশ্লেষকগন স্বাগত জানিয়েছেন। তাছাড়া তাসরিফ সুপরিচিত গায়ক হয়েও সামাজিক কাজে এভাবে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।