ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া ও ভারী বৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে বজ্র-বিদ্যুৎসহ ভারী বর্ষণ। এমন অবস্থায় নিজ এলাকার জনগণের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার তারকা সাংসদ দেব ও সোহম চক্রবর্তী।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর পরিদর্শন করতে ও গ্রামবাসীদের সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন সোহম। দীঘা ও বালাসোরের মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ায় ঝড়ের তাণ্ডব চলবে পূর্ব মেদিনীপুরে। তাই নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষকে সুরক্ষিত করতে জোরকদমে মাঠে নেমেই কাজ করছেন সদ্য জয়ী হওয়া তৃণমূলের নেতা।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ করছেন সোহম। এই দুর্দিনে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সকলকে একযোগে দুর্যোগ মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও এই তারকা সাংসদ ভগবানপুরে কোভিড সেফ হোম খুলেছেন।
অন্যদিকে ঘুর্ণিঝরের পরিস্থিতিতে নিজ এলাকা ঘাটালের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের আরেক তারকা সাংসদ দেব। একটি ভিডিও বার্তা পাঠালেন সবার জন্য। তিনি বলেন, ‘আশা করি ঘাটালের প্রত্যেকটি মানুষ সুস্থ আছেন। কঠিন সময়, আমরা সবাই চেষ্টা করছি কীভাবে মানুষদের ভালো রাখা যায়। করোনার মাঝেই ইয়াসের আগমন। একটাই কথা বলব ঝড়ের সময় ঘর থেকে বের হবেন না। গাছের সামনে বা কোনও ল্যাম্পপোস্টের সামনে দাঁড়াবেন না, ঘাটাল ও মেদিনীপুরে ইতোমধ্যেই এনডিআরএফ ও এসটিআরএফের টিম পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ‘কাঁচা বা মাটির বাড়ি হলে যদি ঝড়ের সময় থাকতে ভয় লাগে তাদের জন্য ঘাটাল ফ্লাড আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে। প্রতিটি ব্লকে রয়েছে সেন্টার। ৯০০টারও বেশি আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড ওয়ার্ড ও নন-কোভিড ওয়ার্ড আলাদা করে রাখা হয়েছে।’
এলাকাবাসীদের ভরসা দিয়ে দেব বলেন, ‘ঘাটালবাসীদের কাছে অনুরোধ এই সময় মানুষকে মানুষের পাশে থাকতে হবে তাই যাদের পাকা বাড়ি তারা যদি একটি দিনের জন্য আশ্রয় দেন প্রতিবেশিদের তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। আমি, আমার সরকার তো আছিই, আপনারাও সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিন। কঠিন সময় আমরা ঠিক পার করে ফেলব। একে অপরের পাশে থাকুন। টর্চ লাইট, মোমবাতি সঙ্গে রাখবেন, ফোনে চার্জ দিয়ে রাখবেন যাতে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলেও যোগাযোগ করা যায়।