‘গত কয়েকদিন ধরে এত বেশি চাপ যাচ্ছিলো যে, বলা যায় মরতে মরতে বেঁচেছি। টানা ভোর পর্যন্ত শুটিং করে আবার সকালে আরেক সেটে কাজ করেছি। একটু বাজে অবস্থা-ই গিয়েছে আমার। চাইলে কাজ ক্যান্সেল করতে পারতাম কিন্ত কমিটমেন্ট নষ্ট করতে চাইনি, তাই কষ্ট হলেও কাজগুলো শেষ করেছি।’ এবার ঈদের কাজ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির।
এবার ঈদে এ অভিনেত্রীর প্রায় ১৫টি নাটক প্রচারিত হতে যাচ্ছে। কাজগুলো নিয়ে উচ্ছ্বসিত এ তারকাভিনেত্রী বলেন, এবারে যে কাজগুলো করেছি তার প্রত্যেকটা গল্পই খুব খুব সুন্দর। যার কারণে আমি একটু বেশিই আশাবাদী। কিচু রোমান্টিক গল্প, কিছু মেলো ড্রামা, কিছু বার্তাবাহী, যেখানে কিছু মেসেজ থাকবে দর্শকদের জন্য। আমি যে খুব বেশি কাজ করি, তা নয়। আমি চাই কম কম কাজ করতে, যেগুলো করবো সেগুলো যেন দর্শকরা পছন্দ করে।
এরমধ্যে কয়েকটা কাজ নিয়ে আমি বেশি রোমাঞ্চিত। সেগুলো হচ্ছে- মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ার দুটি নাটক, মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের নাটক, এছাড়াও বেবী আপুর লাইভ-২, ভাইরাল ভাইরাস ও ঢাকাইয়া ওয়েডিং। আমার বিশ্বাস কাজগুলো দর্শকদের অনেক বেশি ভালো লাগবে।
এই ঈদে সাফা কবির অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে- মিজানুর রহমান আরিয়ানের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘প্রেসক্রিপশন’ (জুনায়েদ বুকদাদি), সাইদুর ইমনের ‘রঙিন কাগজ’ (জোভান), খায়রুল পাপনের ‘কন্ট্রাক্ট ভাই’ (ইরেশ যাকের), মোস্তফা কামাল রাজের ‘শেষ খেলা’ (তৌসিফ মাহবুব), মিফতাহ আনানের ‘ঢাকাইয়া ওয়েডিং’ (তৌসিফ মাহবুব), জুলফিকার ইসলাম শিশিরের ‘বেবী আপুর লাইভ-২’ (সাঈদ জামান শাওন), গৌতম কৈরির ‘ভাইরাল ভাইরাস’(ইয়াশ রোহান), ইমরাউল রাফাতের ‘রিলেশনশীপ ম্যানেজার’ (সাঈদ জামান শাওন), তুহিন হোসেনের ‘অবশেষে বৃষ্টি’ (জোভান), মিফতাহ আনানের ‘মুন্নার গার্লফ্রেন্ড’ (নিলয় আলমগীর), রাকেশ বসুর ‘চিলোকোঠার ভালোবাসা’ (ঋষি কৌশিক, কলকাতা), ইমরাউল রাফাতের ‘তুমি পাশে থাকলে’ (তৌসিফ মাহবুব), ফাহরিয়ান চৌধুরীর ‘লাইফ গেইম’ (তৌসিফ মাহবুব) ও জাকিউল ইসলাম রিপনের ‘মেজাজ খারাপ’ (তৌসিফ মাহবুব)।
এছাড়াও মিজানূর রহমান আরিয়ানের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি প্রচারিত হবে। এখানে সাফা কবিরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার।