জয়িতার সাজানো-গোছানো জীবন যেন হঠাৎ করেই এলোমেলো হয়ে গেল। তার জীবন অনিশ্চয়তায় পড়ে, যখন তার বয়ফ্রেন্ড রবিন নিখোঁজ হয়। রবিনকে খুঁজতে এক অজানা যাত্রায় বের হয় জয়িতা। ঘটনায় জটিল রূপ নেয়, যখন মারকিউলিস নামক এক অদৃশ্য কেউ ধর্ষকদের খুন করতে থাকে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, অরাজকতা ও অবিশ্বাস দানা বাঁধে সমাজে। মারকিউলসের একের পর এক খুনে সবার মধ্যে অবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
এই জট, রহস্য, গল্পের সবকিছুই জানা যাবে ‘মারকিউলিস’-এ। আবু শাহেদ ইমনের পরিচালনায় ৮ পর্বের সাসপেন্স-মিস্ট্রি জনরার এই সিরিজে অভিনয় করেছেন একদলের গুণী অভিনেতা। এই ঈদে অর্থাৎ চাঁদরাতেই চরকিতে মুক্তি পাবে ‘মারকিউলিস’।
সাবিলা নূর, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, রওনক হাসান, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ইরেশ যাকের, রাশেদ মামুন অপু, শরীফ সিরাজ, সাবেরী আলম, আইশা খান, নাজিবা বাশার, পৌষালী অথৈ, মিলি বাশার, নাফিস আহমেদ, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, মাজনুন মিজান, অশোক ব্যাপারীসহ আরও অনেকেই আছেন এই সিরিজে।
এই প্রথম কোনো ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন সাবিলা নূর। কাজের অভিজ্ঞতা ইউনিক ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে আমার চরিত্রের নাম জয়িতা। একটি মেয়ের জার্নির মাধ্যমে কিছু গল্প রিভিল হয়। একজন মেয়ে নতুন একটা ঘটনা নিয়ে কীভাবে তার জীবনকে কন্ট্রোল করবে সেটি এই সিরিজের মূল আলাপ।’
সাবিলা আরও বলেন, ‘আসলে আমরা যখন টিভি সিরিজে কাজ করি, তখন এত বড় টিমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয় না। এই কাজের অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে সারা জীবন থাকবে ৷ এই সিরিজের সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। ইমন ভাই অসাধারণ একজন পরিচালক। ওনার কাজের প্রসেস খুবই দারুণ ও ইউনিক। এ ছাড়া মেকআপ, কস্টিউমসহ সবকিছু দারুণ ছিল।’
চরকিতে প্রথম কাজ করছেন জাকিয়া বারী মম ও রওনক হাসান। মম বলেন, ‘মারকিউলিস একটা সিস্টেমের কথা বলে। একটা রাষ্ট্রযন্ত্রের কথা বলে। সিরিজের সব চরিত্রগুলোর নানা ডাইমেনশন আছে। আমার চরিত্র খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। কাজটাও বেশ ডিফারেন্ট হয়েছে। শাহেদ ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ সব মিলিয়ে বেশ দারুণ সময় ছিল।’
অভিনেতা রওনক বলেন, ‘এখনকার সময়ের কনটেন্টগুলো অধিকাংশ ক্রাইম, থ্রিলার, অ্যাকশননির্ভর। কিন্তু মারকিউলিস ব্যতিক্রম। আমরা একটা ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শক বলবেন।’
দর্শক এর আগে চরকিতে গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে পরিচালক হিসেবে পেয়েছে। এবার তিনি আসছেন অভিনেতা হয়ে।
পরিচালক আবু শাহেদ ইমন বলেন, ‘মারকিউলিস আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। এটার অভিজ্ঞতা চমৎকার। অন্য সিরিজের তুলনায় এই গল্পের ধরন মৌলিক। এই সিরিজে অনেকে অভিনয় করেছেন। সবার মিশেলে বেশ বড় আয়োজনের কাজটা হয়েছে।’
সিরিজের গল্প কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত এটি একটি মেয়ের গল্প। তার প্রেমিক একজনের হাতে খুন হন। ড্রামা থ্রিলার জনরার গল্প হলেও সামাজিক অনেক ঘটনা রয়েছে। এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, খুব সাধারণ দর্শকও এটা উপভোগ করতে পারে।’
‘মারকিউলিস’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন আবু শাহেদ ইমন ও সামিউল ভূঁইয়া। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। এটি সম্পাদনা করেছেন সামির আহমেদ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রিপন নাথ; ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও মিউজিক করেছেন ইমন চৌধুরী।