নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল বলিউড সিনেমার তালিকায় অন্যতম ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’। আমির খান ও জুহি চাওলার সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৩ সালে। তিন দশক পরে সিনেমার প্রতিটি গান, সংলাপ আজও সমান জনপ্রিয়।
সিনেমাটির ৩০ বছর পূর্তিতে ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’ নিয়ে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী নবনীত নিশান। সিনেমায় আমিরের বাগ্দত্তা মায়া চরিত্রে অভিনয় করা নবনীতের স্মৃতিচারণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
নবনীতের ক্যারিয়ারের একদম শুরুর দিকের ছবি ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’। আমির খান ও জুহি চাওলার মতো দুই সুপারস্টারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগ তাঁর কাছে বড় পাওয়া ছিল সে সময়, তাই প্রচণ্ড নার্ভাস ছিলেন নবনীত। মহেশ ভাট পরিচালিত এই রোম্যান্টিক-কমেডিতে আমিরের হবু বউয়ের চরিত্রে দেখানো হয়েছিল নবনীতকে।
একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। চিত্রনাট্য অনুসারে আমির ও নবনীতের বাগদান সম্পন্ন হওয়ার পর মায়া (নবনীত অভিনীত চরিত্র) রাহুলের (আমির অভিনীত চরিত্র) গালে চুমু দেবে। আমিরের গালে নবনীতের ঠোঁটের লিপস্টিকের গাঢ় দাগ পড়ে। পারফেকশনিস্ট আমির খান দৃশ্যের নিরবচ্ছিন্নতার ব্যাপারে খুব যত্নশীল। তাই পরবর্তী শটগুলোতেও যাতে নবনীতের ঠোঁটের ওই লিপস্টিকের দাগ তাজা থাকে তা নিশ্চিত করেছিলেন অভিনেতা। ফলে আমিরের গালে নবনীতকে ৭–৮ বার চুমু খেতে হয়েছিল।
নবনীতের কথায়, ‘উফ! ওই শুট সেরে বাড়ি ফিরে মনে হয়েছিল, আমি তো লটারি হাতে পেয়ে গেছি, সারা দিন শুধু আমিরকে চুমু খাওয়া!’ যদিও সিনেমায় এই দৃশ্যটির জায়গা হয়নি শেষ পর্যন্ত। এতে খানিকটা আফসোস রয়ে গেছে অভিনেত্রীর।
১৯৯৩-এর অন্যতম বক্স অফিস সফল সিনেমা ‘হাম হ্যায় রাহি প্য়ায়ার কে’। এটি ছাড়াও আমিরের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন নবনীত। যার মধ্যে অন্যতম ‘রাজা হিন্দুস্তানি’। এ ছাড়া ‘আকেলে হাম আকেলে তুম’, ‘মেলা’র মতো সিনেমায় আমিরের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন নবনীত।
শেষবার পাঞ্জাবি সিনেমা ‘আরদাব মুটিয়ারা’তে পর্দায় দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। তিন দশকের দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন নবনীত।