ব্রিটিশ সাময়িকী ফারআউট হলিউড তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের ৩১তম জন্মদিনে প্রকাশ করেছে বিশেষ ফিচার। সেখানে বলা হয়েছে, ‘টোয়ালাইট’ সিরিজের ‘বেলা সোয়ান’ চরিত্রটি ক্রিস্টেনকে এতটাই জনপ্রিয়তা এনে দেয় যে সেখান থেকে বের হয়ে সু–অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলভাবে ছক্কা পিটিয়েছেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট।
সাধারণ দর্শকদের কাছে তাঁর যেমন জনপ্রিয়তা, তেমনি বিকল্প ধারার সিনেমার মানুষ কদর করেন তাঁকে। ফারআউট সাময়িকী স্টুয়ার্টের সেরা ১০ সিনেমার একটি তালিকা দিয়েছে। আর মহামারিকাল হতে পারে এই সিনেমাগুলো দেখার মোক্ষম সুযোগ। সেই সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে ‘সার্টেইন ওম্যান’, ‘পারসোনাল শপার’, ‘স্টিল অ্যালাইস’, ‘ক্লাউডস অব সিলস মারিয়া’, ‘প্যানিক রুম’, ‘দ্য রানওয়েজ’, ‘হ্যাপিয়েস্ট সিজনস’, ‘ক্যাম্প এক্স রে’, ‘ইনটু দ্য ওয়াইল্ড আর অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড’।
প্রথম আর একমাত্র হলিউড তারকা হিসেবে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট পেয়েছেন ফ্রান্সের জাতীয় পুরস্কার, সিজার অ্যাওয়ার্ড। এক দশক ধরে তিনি হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গোনা অভিনেত্রীদের একজন। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, জনপ্রিয় আর শৈল্পিক, দুই ধরনের ছবিতেই সমান তালে অভিনয় করে দর্শক আর সমালোচক, দুই পক্ষের কাছেই ক্রিস্টেন সমান প্রিয়।
অভিনেত্রী, নারীবাদী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে ‘আইকন’ মানা হয় ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টকে। এ বিষয়ে জন্মদিনে ব্রিটিশ একাডেমি পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, আমি আজ যে মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে এনেছে। তাই আমার যাত্রার ভুল–ঠিক সব মিলিয়েই এই আমি। ভুল থেকে যদি আপনি শিক্ষা নেন, তাহলে ভুল আর ভুল থাকে না। আমি কখনোই মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে চাইনি। চাইনি তারকা হতে। আমি কেবল ভালো অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। আমি যা, আমি তা–ই হয়ে ফুটে উঠতে চেয়েছি। তবে হ্যাঁ, আমি ছোটবেলা থেকেই অটোগ্রাফ দিতে চাইতাম। কারণ, কাগজে আমার নিজের নাম লিখতে ভালো লাগত। আমার ধারণা, এক লাখ অটোগ্রাফ দিলেও আমি ক্লান্ত হব না।’