রাজধানীর একটি ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার অভিযোগকারী চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে এবার গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ জুন পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ক্লাবটির গ্লাস ভাঙচুর করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম সমকালকে জানান, ওইদিন গভীর রাতে ৯৯৯-এ একটি ফোন পেয়ে গুলশান থানা পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে কথা-কাটাকাটির জেরে গ্লাস ভাঙচুর করেন পরীমণি। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।
এ ব্যাপারে নায়িকা পরীমণি সমকালকে বলেন, ‘এতদিন পর এই ঘটনা কেন সামনে এলো? আমার ওপর নির্যাতনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই একটি মহল এটি করছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।’
গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও লিরা গ্রুপের কর্ণধার কে এম আলমগীর ইকবাল সমকালকে বলেন, ক্লাবের একজন সদস্যের অতিথি হিসেবে পরীমণি ক্লাবে গিয়ে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমরা ওই সদস্যকে শোকজ করেছি। অতিথির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।
কোন সদস্যের অতিথি হিসেবে পরীমণি গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে আলমগীর ইকবাল বলেন, ওই সদস্যের নাম প্রকাশ করা ঠিক হবে না। এতে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।
একটি সূত্র বলছে, ৭ জুন রাতে অল কমিউনিটি ক্লাব সদস্যদের জায়গায় বসাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর তা এক পর্যায়ে ভাংচুর পর্যন্ত গড়ায়।
অভিনেত্রী পরীমণির অভিযোগ, গত ৮ জুন সাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা হয়। ১৩ জুন সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এবং রাতে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন তিনি।. . . .
পরদিন এ ঘটনায় সাভার থানায় মামলা করেন ঢাকাই ছবির আলোচিত এ নায়িকা। এরই মধ্যে মামলার আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দ্রুত এমন পদক্ষেপে মঙ্গলবার স্বস্তির কথা জানান নায়িকা।
নড়াইলের মেয়ে পরীমণির ঢাকার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ২০১৫ সালে। এ পর্যন্ত প্রায় দুই ডজন ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।