বন্ধুত্ব নিয়ে দুনিয়াজুড়ে তৈরি হয়েছে অনেক সিনেমা। সে তালিকায় নতুন পালক যুক্ত করতে আসছে ওপার বাংলার ‘দোস্তজী’। প্রসূন চট্টোপাধ্যায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি বড়পর্দায় মুক্তি পাবে আগামী ১১ নভেম্বর।
বাবরী মসজিদ ধ্বংস ও মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দুই শিশুর মধ্যকার বন্ধুত্ব ও বিচ্ছেদের গল্প এই ‘দোস্তজী’। গ্রামের সরল পরিবেশের দুই শিশুর শৈশবের বন্ধুত্বের গল্প বলা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে।
কয়েকদিন আগেই ‘দোস্তজী’ সিনেমার প্রধান চরিত্র আশিক ও আরিফ শেখকে নিজের বাসভবনে ডেকে ট্রেলার প্রকাশ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দুই শিশু শিল্পীর অভিনয় দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। সিনেমাটি পরিবেশনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
অমিতাভ বচ্চনও টুইটের মাধ্যমে ‘দোস্তজী’র পরিচালককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রসূনের উদ্দেশে বিগ বি লিখেছেন, ‘তরুণ বাঙালি পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের একটি অনন্য প্রয়াস দোস্তজী। চলচ্চিত্র সব কলাকুশলী ও অভিনয় শিল্পীদের জন্য শুভকামনা।’
সিনেমার পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণ কঠিন কাজ। তার ওপর একজন স্বাধীন নির্মাতার ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও জটিল। সেখান থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে পারছি। খুব ভালো লাগা কাজ করছে।
‘আগামী শুক্রবার থেকে পুরো ভারতে মুক্তি পাচ্ছে দোস্তজী। আগামী বছরের শুরুতে তাইওয়ান, এরপর পর্যায়ক্রমে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুক্তি দেওয়ার কথা চলছে।’
গত বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘দোস্তজী’। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের হলে মুক্তি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, এ বিষয়ে নির্মাতা বলেন, ‘আমি ভীষণভাবে চাই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে মুক্তি পাক। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে আলাপ চলছে।
‘এর আগে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যখন চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়, সেখানে আমি ছিলাম। অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি দর্শকদের কাছ থেকে। এই সিনেমায় যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সেটি রাজশাহী অঞ্চলের। অনেকে মনে করেছিল, চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের। আমি খুব করে চাই সেখানকার দর্শকেরাও দোস্তজী উপভোগ করার সুযোগ পাক।’
ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বের ২৬টি দেশে ঘুরেছে আরিফ আশিকের বন্ধুত্বের এই চলচ্চিত্র। তাঁদের ঝুলিতে রয়েছে ৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এটি একমাত্র বাংলা চলচ্চিত্র যা ইউনেসকো স্বীকৃত সিফেজ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এছাড়া জাপান, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের অনেক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয়েছে ‘দোস্তজী’।