অভিনয় দিয়ে দর্শক তাঁকে চিনলেও দিলজিৎ দোসাঞ্জ মূলত গায়ক। তাঁর গানের ভক্ত শুধু ভারতে নয়, ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরজুড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংগীতসফর করেছেন তিনি। সেখানকার কনসার্টগুলোতে দর্শকরা যেভাবে দিলজিতকে বরণ করেছেন, তাতে বোঝা গেছে এ পাঞ্জাবি গায়কের জনপ্রিয়তা কতটা!
বিদেশে তুমুল অভ্যর্থনা পেলেও নিজের দেশ ভারতেই কনসার্ট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দিলজিৎ। আজ হায়দরাবাদে রয়েছে তাঁর শো। শোয়ের আগেই তেলেঙ্গানা সরকার নোটিশ পাঠিয়েছে দিলজিতকে। ওই নোটিশের মাধ্যমে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের প্রচার করা হয়, এমন কোনো গান তিনি যেন কনসার্টে না করেন। চণ্ডীগড়ের এক প্রফেসরের অভিযোগের ভিত্তিতে এ নোটিশ দেওয়া হয় তাঁকে।
দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এর আগেও তো ভারতে বহু কনসার্ট করেছেন দিলজিৎ, তবে হঠাৎ কেন এমন ব্যবস্থা নেওয়া হলো? জানা গেছে, অক্টোবরের শেষের দিকে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে একটি কনসার্ট করেন দিলজিৎ। সেখানে এমন কিছু গান করেন তিনি, যা অ্যালকোহল, মাদক ও মাংসের ব্যাপারে মানুষকে প্ররোচিত করে। কনসার্ট শেষে স্টেডিয়ামের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, তাতে দেখা যায়, সারা মাঠে ছড়িয়ে আছে মাংসের হাড় আর মদের বোতল। পুরো স্টেডিয়াম বলতে গেলে ডাস্টবিন হয়ে উঠেছিল। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয় ওই সময়।
হায়দরাবাদের শোয়ের ব্যাপারে যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি ওই ভিডিও জুড়ে দিয়েছেন অভিযোগপত্রের সঙ্গে। তাঁর আশঙ্কা, দিলজিতের এসব গান নবীন প্রজন্মকে নেশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। ফলে শোয়ের আগেই রাঙারেড্ডি জেলার নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ নাগরিক কল্যাণ দফতরের জেলা কল্যাণ আধিকারিক দিলজিতকে নোটিশ পাঠিয়ে সতর্ক করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমরা আগে থেকে এই নোটিশ জারি করছি, যাতে আপনার লাইভ শোয়ে এ ধরনের প্রচার না হয়।’
দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কোনো শিশুকে যেন স্টেজে তোলা না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৪০ ডেসিবেলের ওপরে শব্দ ক্ষতিকারক, শিশুদের ক্ষেত্রে সেই মাত্রা ১২০ ডেসিবেল। অতএব লাইভ শো চলাকালীন শিশুদের মঞ্চে তোলা যাবে না, কারণ সেখানে শব্দের মাত্রা ১২০ ডেসিবেলের বেশি থাকে।’