বিনোদন

কবিতাঃ রক্তপুরী

কবিতাঃ রক্তপুরী

লেখাঃ সানজিদা আক্তার

বাংলার মানুষ যে চায় নি ওরা,
চেয়েছিল শুধু এই দেশের মাটি।
আর তাই বাংলা হলো যে রক্তপুরী।

পঁচিশে মার্চ ঊনিশশো একাত্তর, সেই মধ্যরাত।
বাংলার ঘুমন্ত মানুষের উপর
আর্বিভাব হলো মানুষরূপী দানবের।
আর বন্দুকের শব্দে,
হঠাৎ জেগে উঠা,
মানুষ তখনও ভেবেছিল দুঃস্বপ্ন এটা।

বাংলার মানুষ যে চায় নি ওরা,
চেয়েছিল শুধু এই দেশের মাটি।
আর তাই বাংলা হল যে রক্তপুরী।

মায়ের আঁচলের নিচে ছোট্ট শিশুটি ঘুমিয়ে।
সে ভেবেছিল, সে ভোরের আলো দেখবে।
বাংলার কৃষক- শ্রমিক, তাঁতী-জেলে ঘুমিয়ে।
ভেবেছিল তারা জীবিকার তাগিদে আবারও ছোটবে।
দেশের কথা ভেবে, ক্লান্ত বুদ্ধিজীবীরাও ঘুমিয়ে।
বাংলার অধিকার রক্ষা হবে এই ভেবে।
ভোরের আলো তারা দেখবে।

শিক্ষক,ছাত্ররা ঘুমিয়ে,
ভোরের আলো তারা দেখবে,
বাংলার অধিকারের কথা তারা বলবে।

বাংলার মানুষ চায় নি যে ওরা।
চেয়েছিল শুধু এইদেশের মাটি।
আর তাই বাংলা হলো যে রক্তপুরী।

মায়ের আচঁলের নিচে শুয়ে থাকা ছোট্ট শিশুটি জেগেছিল ঠিকই, কিন্তু ভোরের আলো আর দেখে নি।
মানুষ চায় নি যে ওরা, কিভাবে দেখবে ভোরের আলো সেই শিশুটি।
সেই বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, শিক্ষকদের আর বাংলার অধিকারের কথা বলা হয় নি।
সেই কৃষক-শ্রমিক, তাঁতী, জেলেদেরও জীবিকার তাগিদে আর ছোটা হয় নি।
ভোরের আলো আর তাদের দেখা হয় নি।
বাংলা যে এক রক্তপুরী।

বাংলার মানুষ যে চায় নি ওরা।
চেয়েছিল শুধু এইদেশের মাটি।
তাদের সেই চাওয়া, কিভাবে মানবে বাংলার দামাল ছেলেরা?
পূর্ণ হতে দেয় নি, বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের সেই চাওয়া।
যুদ্ধ করে এনেছে বাংলার স্বাধীনতা,
বাংলার দামাল ছেলেরা।
এনেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকাটা।

বাংলার মানুষ যে চায় নি ওরা।
চেয়েছিল শুধু এইদেশের মাটি।
আর তাই বাংলা যে হলো রক্তপুরী।

এই দেশের মাটি না, যদি মানুষ চাইতো ওরা,
তবে উপহার হিসেবে পেয়ে যেত,
এইদেশের উর্ভর মাটি।

বাংলার মানুষ যে চায় নি ওরা,
চেয়েছিল এইদেশের মাটি।
আর তাই বাংলা হলো যে রক্তপুরী।

Related posts

গাজার শিশুদের জন্য ২০ লাখ ডলার অনুদান সংগ্রহ করলেন আইরিশ অভিনেত্রী

News Desk

ফিরতে চান সেলিনা

News Desk

বক্স অফিসে হতাশ করল কপিল শর্মার ‘জুইগ্যাটো’

News Desk

Leave a Comment