চলচিত্রাঙ্গনের দুই কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব কবরী ও ওয়াসীমকে হারিয়ে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন তিন কন্যা সূচন্দা, ববিতা ও চম্পা। কারণ তাদের কাছে সারাটি জীবনই নিজদের পরিবারের বাইরে চলচ্চিত্রও একটি পরিবার। জীবন চলার পথ নিজের পরিবারের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গেই তাদের সময় কেটছে বেশি। যে কারণে প্রায় একই সময় কাজ শুরু করা সহকর্মীদের চলে যাওয়াটা তাদরকে খুব আঘাত করেছে।
করোনায় তিন কন্যা’ই নিজদের বাসায় রয়েছেন। এরইমধ্যে ববিতা ও চম্পা করোনার টিকা নিলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এখনও টিকা নিতে পারননি সূচন্দা।
সূচন্দা বলেন, কিছু দিন আগেও অসুস্থ ছিলাম, এখন ভালো আছি৷ রমজান মাস নামাজ পড়ছি, সবার জন্য দোয়া করছি৷ নিজের পরিবারের বাইরে চলচ্চিত্র পরিবারের সবার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। নিজের লাগানো গাছের যত্ব নিচ্ছি, আকাশ দেখছি, পাখি দেখি। আল্লাহর সৃষ্টি রহস্যময় এই পৃথিবী। যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাদের কথায় বারবার মনে পড়ে৷ তাদের জন্য দোয়া করি। ব্যস্তময় সময়ের দিনগুলো মিস করি। খুব আফসোস হচ্ছে কবরীর সঙ্গে শেষ কথাটা হলো না।
ববিতা বলেন, ১৯৭৩ সাল ওয়াসীম ভাইয়ের চলচ্চিত্রে নায়ক হিসাবে পথচলা শুরু হয় আমার বিপরীতে ‘রাতের পর দিন’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিেয়। সেই প্রিয় ওয়াসীম ভাই চলে গেলেন, চলে গেলেন কবরী আপা, লাদী ভাইও। খুউব কষ্ট পাচ্ছি, নিজেক স্বাভাবিক করতে সময় লাগছ। রাতে ঘুমই হয়না। কবরী আপা চলে গেলেন, তার ছাট ছেলে শানের কথা খুব ভাবছি, ছেলেটা হয়তা ক্ষণে ক্ষণে মাক খুঁজবে। একজন মা হিসাবে আমার এসব ভাবনাই বারবার চলে আসছে। কারণ আমারও সন্তান আছে।
সূচদা ও ববিতা’র আদরের ছোট বোন চম্পা। তিনিও নিজে ঘরেই নিরাপদে সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন। এরমধ্যে তার কাছে অনেক নাটক সিনেমারও প্রস্তাব গিয়েছে। তবপ এই অভিনেত্রী করোনার সময়ে কোন কাজ করতে চাননা।
চম্পা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ । মুক্তির অপক্ষায় আছে তার অভিনীত ‘শান’ সিনেমাটি।