কলকাতায় নিজ বাসভবন থেকে আরেক মডেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। কলকাতা শহরে এ নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে শোবিজ জগতের চারজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, সরস্বতী দাস নামে ওই মডেলের বয়স মাত্র ১৮ বছর। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি মেকআপ শিল্পীও ছিলেন। গতকাল রোববার শহরের কসবা এলাকার বেদিয়াডাঙ্গায় নিজ বাসভবনের একটি কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সরস্বতী ছোটখাটো ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য মডেলিং করছিলেন। বেশ কয়েকটি অফার ছিল তাঁর। গত শনিবার রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে সঠিক তথ্য জানতে অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখতে হবে। সরস্বতীর নানি প্রথমে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সবজি কাটার বঁটি দিয়ে দড়ি কেটে তাঁকে নামানো হয়। দ্রুত তাঁকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে এর আগে যে তিনজন মডেল-অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন সেসব ঘটনার সঙ্গে সরস্বতীর এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, পুলিশ সেটি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। এর আগে মডেল মঞ্জুষা নিওগি, বিদিশা দে মজুমদার এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী পল্লবী দের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁরা সবাই আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ সরস্বতীর মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, সরস্বতীর শৈশবকালেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর মা-খালাদের কাছেই বড় হন তিনি।
২৪ মে মডেল মঞ্জুষার (২৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঞ্জুষার মা বলেছিলেন, ২২ মে তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মী বিদিশা দে মজুমদারের আত্মহত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। এ থেকেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ১৫ মে পল্লবী দে নামের আরেক মডেলের মরদেহ তাঁর ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়।
এই সম্পর্কিত পড়ুন: