কানাডার টরোন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। সংগীতশিল্পী প্রিতম আহমেদ ফেসবুক লাইভে বলেন, মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে কুমার বিশ্বজিতের ছোট ভাই অভিজিতের কথা হয়েছে। অভিজিৎ দে তাঁকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নিবিড়। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এক ফেসবুক পোস্টে প্রিতম লেখেন, ‘আমাদের প্রিয় শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ দাদার ছেলে নিবিড় কানাডায় রোড অ্যাক্সিডেন্টে আহত হয়েছে। বর্তমানে টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ওর শারীরিক অবস্থা জানাতে ডাক্তাররা আরও ৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবেন। আমার সঙ্গে এই মুহূর্তে হাসপাতালে অবস্থানরত ওর কাকু অভিজিৎ দের কথা হয়েছে। অযথা না জেনে কেউ বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করবেন না। বাচ্চাটার জন্য দোয়া করেন।’
স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় হাইওয়ে-৪২৭ মহাসড়কের দুন্দাস স্ট্রিট ওয়েস্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।
এক টুইট বার্তায় অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে থাকা চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় টরন্টোতে বসবাস করছিলেন। নিহতদের মধ্যে ২০ বছর বয়সী দুজন তরুণ-তরুণী রয়েছেন। নিহত আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। ২১ বছর বয়সী এক যুবক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাণে বাঁচলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতদের পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। অন্যজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তবে কানাডার পুলিশ বা দেশটির গণমাধ্যমে হতাহত শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, নিহত তিন শিক্ষার্থী হলেন শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ, আরিয়ান দীপ্ত।
টরন্টো পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান এবং হতাহতদের উদ্ধার করেন।