পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে ভারতের বর্ষীয়ান টেলিভিশন অভিনেত্রী বীণা কাপুর খুন হন তাঁর ছেলে শচীন কাপুরের হাতে। গত শনিবার এমন খবর জানিয়েছিল ভারতীয় প্রায় সব শীর্ষ সংবাদমাধ্যম। অভিনেত্রীর মর্মান্তিক এই মৃত্যুর খবরে শোকাহত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও। কিন্তু না, জানা যায় গতকাল বুধবার ছেলেকে নিয়ে থানায় হাজির হন অভিনেত্রী বীণা কাপুর। তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে আছি’। গতকাল মুম্বাইয়ের দিন্ডোসী থানায় হাজির হয়ে, ভুয়া খবর ছড়ানো ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তার অভিযোগ আনেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বীণা কাপুর জানান, তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সবাই তাকে সমবেদনা জানিয়ে ফোনে বহু মেসেজ ও ফোন করতে থাকেন। যা নিয়ে তিনি একপ্রকার বিরক্ত হোন। তিনি কাজে মন দিতে পারছেন না। এমনকি বহু কাজ তাঁর হাত থেকে চলে যেতে বসেছে।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি জানাতে চাই, আমার ছেলে আমাকে খুন করেনি, আমি দিব্যি বেঁচে আছি।’
এই ঘটনায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সেই বীণা কাপুরের ছেলে অভিষেক কাপুর বলেন, ‘এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর, আমার কাছেও অনেক ফোন আসতে থাকে। সবাই বলতে থাকেন আমি নাকি আমার মাকে হত্যা করেছি। এমন ভয়ানক কথা আমি তো চিন্তাও করতে পারি না। আমি মা কে অনেক ভালোবাসি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, বীণা কাপুর খুন হয়েছেন ঠিকই, তবে তিনি টেলিভিশন অভিনেত্রী বীণা কাপুর নন। খুন হওয়া বীণা কাপুর মুম্বাইয়ের জুহুর বাসিন্দা। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন শচীন কাপুর, তিনি জুহুতে খুন হওয়া বীণা কাপুরের ছেলেই!
মূলত একই নামের হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে তৈরি হয় এই বিভ্রান্তি।
গত শনিবার মুম্বাই পুলিশ বীণা কাপুর নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করার খবর জানাই। তখন খবর রটে সম্পত্তির জন্য ছেলে শচীন কাপুর তাঁকে বেসবলের ব্যাট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশ জুহু থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরের রায়গড়ের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন। এই ঘটনায় হত্যাকারী শচীন এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন।