ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার আগের রাতে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করা হয়েছে। গুলশান থানায় এই জিডিটি করা হয়। আজ বুধবার এ বিষয়ে জানতে আমাদের সময়’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পরীমনি। এরপর ফোন কেটে দেন। তারপর থেকেই তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকার বোট ক্লাবের ঘটনায় আলোচনায় আসেন পরীমনি। এ ঘটনায় আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমি কম্প্লিটলি ভিকটিম। এখানে যে ঘটনা বলা হচ্ছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনার দিন ছিলাম। আমি ওই ক্লাবের একজন পরিচালক। আমি যখন বের হয়ে যাচ্ছি ওরা (পরীমণি ও তার বন্ধুরা) ঢোকে। তখন আমাদের সিকিউরিটি, আমাদের অফিসার, সেক্রেটারি কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তারা না থাকার কারণে তারা (পরীমণি ও তার বন্ধুরা) যখন ঢোকে তখন খুব উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিলেন। তাদের সঙ্গে একটা ছেলে ছিল, তারা সবাই মদ্যপ অবস্থায় ক্লাবের ভেতর ঢোকে। ঢোকার পরে আমাদের বারের কাউন্টারে খুব দাবি ড্রিংকস ছিল, তারা জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করে।
নাসির উদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কারণ ওইযে আমি বাধা দিয়েছি। তারা তো নিতে পারেনি। তারা তো মেম্বার না। আমি জাস্ট তাদের বাধা দিয়েছি, এটা (ড্রিংকস) নেওয়া যাবে না। নিতে হলে তোমাদের কোনো অ্যাকাউন্টের অ্যাগেইন্সটে নিতে হবে, কারণ এটা বিক্রি যোগ্য না। এটা সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জিনিস না। এটা এখানে বসে খেতে হবে। বাই দিস টাইম আমাদের বার এখন ক্লোজড। এরপরই সে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একটার পর একটা গ্লাস ভাঙতে শুরু করে। সে গালিগালাজ শুরু করে। আমাদের স্টাফরা তাকে (পরীমণি) থামানোর চেষ্টা করে। তাকে ওই ঘটনার আগ পর্যন্ত আমি চিনতাম না। ওই সময় আমি তাকে থামানোর চেষ্টা করি। তখন তার সঙ্গে যে ছেলেটা ছিল, সে এসে আমাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। একটা গ্লাস মারে, আমার ঘাড়ে লাগে। এ অবস্থায় আমি আমার সিকিউরিটিদের নির্দেশ দেই, তারা তাদের (পরীমণিদের) উঠিয়ে নিয়ে যায়।