পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান তারকা জনি ডেপের স্ত্রী আম্বার হার্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল টুইটারের মালিক ধনকুবের ইলন মাস্কের। এমনকি হলিউড অভিনেতা জেমস ফ্র্যাঙ্কোর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল আম্বারের। সম্প্রতি জনি ও আম্বারের পরস্পরের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে এসব পুনরায় উঠে আসে। . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
তারকা হয়েও আম্বার স্বামীর নির্যাতনের শিকার, এ নিয়ে একটি পত্রিকায় কলাম লেখায় সাবেক স্ত্রীর ওপর খেপেছেন জনি ডেপ। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেছেন তিনি। আম্বারও এক কাঠি সরেস। তিনি জনির বিরুদ্ধে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা ঠুকেছেন। মামলার শুনানি তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে।
তবে শুনানিতে পদে পদে আটকে যাচ্ছেন আম্বার। জনির আইনজীবীরা দেখিয়েছেন, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে আম্বারের অভিযোগের চেয়ে গুরুতর অপরাধ করেছেন আম্বার নিজে। জনির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আগেই তিনি জড়িয়েছিলেন উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ও অভিনেতা ফ্র্যাঙ্কোর সঙ্গে। তাঁরা দুজনই সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এরই মধ্যে এই তিনজনের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে ছবি ও ভিডিও। লিফটের ভেতরের দুটি ভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজে আম্বারকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গেছে ফ্র্যাঙ্কো ও মাস্কের সঙ্গে। ঘটনাটি প্রমাণ করে বিচ্ছেদের আগেই আম্বার তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আম্বার বলেছেন, তাঁর সঙ্গে কারও অনৈতিক সম্পর্ক নেই। যতটুকু ঘনিষ্ঠতা ছিল, সেটা ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য রাখতে হয়েছে।
তবে জনির বিরুদ্ধে আম্বারকে শারীরিক নির্যাতনের যে অভিযোগ, সেটা এখনো মিথ্যা প্রমাণ করা যায়নি। এই মামলার শুনানি আরও কিছুদিন চলবে। জনির বিরুদ্ধে আম্বারের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ও মাদক সেবনের পর স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতেন তিনি। আম্বারও জনিকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।