সোহেল খানের আসার কথা বেলা দেড়টায়। অথচ দুপুর ১২টার আগে থেকেই বনানীর ১০/এ রোডে কৌতূহলী মানুষের আনাগোনা। ক্যামেরার ভিড়। বেলা ২টার দিকে যখন সোহেল খান এলেন কালো রঙের রেঞ্জ রোভারে চড়ে, ততক্ষণে জনসমাগম রূপ নিয়েছে জনস্রোতে। রাস্তার একপাশে লম্বা লালগালিচা। সোহেল খান হেঁটে গিয়ে দাঁড়ালেন বিয়িং হিউম্যান শোরুমের সামনে। সেখানে ততক্ষণে কয়েকজন তরুণ-তরুণী তাঁর সম্মানে গানের তালে তালে তুলেছেন নৃত্যের ঝংকার। সোহেল খানও তাঁদের সঙ্গী হলেন। নাচলেন কিছুক্ষণ। এরপর এগিয়ে গেলেন শোরুমের দরজার দিকে। দরজায় টানানো লাল ফিতা সোহেল খানের অপেক্ষায়। তিনি ফিতা কাটলেই শুরু হয়ে যাবে বিয়িং হিউম্যানের বাংলাদেশের কার্যক্রম।
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিয়িং হিউম্যান। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২০১২ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির পথচলা। এই ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রয়ের লভ্যাংশের একটা অংশ ব্যয় হয় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টির বেশি দেশে ৫০০টির বেশি আউটলেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বিয়িং হিউম্যানের কার্যক্রম। গতকাল থেকে বাংলাদেশে শুরু হলো বিয়িং হিউম্যানের পথচলা। সেটিরই উদ্বোধন করতে ঢাকায় আসেন বলিউড তারকা সোহেল খান।
উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল খান। বললেন, ‘বিয়িং হিউম্যান একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় এলাম। বাংলাদেশ আমার প্রতিবেশী হলেও কালচারে-ফ্যাশনে আমরা প্রায় এক। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নতি চোখে পড়ার মতো।’
বাংলাদেশের বেশ কিছু সিনেমা দেখেছেন সোহেল খান। ভাষা না বুঝলেও এসব সিনেমার নাচ-গান তাঁর বেশ লেগেছে। সিনেমা প্রসঙ্গে সোহেল বললেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি তো কাছাকাছি। সিনেমার ধরনটাও অনেকটা এক; বাংলাদেশের সিনেমার নাচ-গান-অ্যাকশন—এসব বেশ উপভোগ করেছি। সেদিন খবু বেশি দূরে নয়, যেদিন বলিউড ও ঢালিউড হাত ধরাধরি করে একসঙ্গে চলবে।’
ঢাকার বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের নাম ভারতে বসেই শুনেছেন সোহেল খান। সেগুলোর স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানালেন। বললেন, ‘আমি বাংলা ফুডের অপেক্ষায় আছি। কাল (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত আছি। মাছ আর বিরিয়ানি খাব ভাবছি। তা ছাড়া খাবার বিষয় না, তোমাদের এই ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’