বাঙালির নানান উৎসবের সঙ্গে মিশে গেছে পহেলা ফাল্গুন। বসন্ত উৎসব।ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। বিশেষ করে তরুণী ও বিভিন্ন বয়সি নারী মেতে উঠেছেন বাঙালির এই উৎসবে। পহেলা ফাল্গুনে বর্ণিল সাজে সেজেছে দিনভর এবং উৎসব উদযাপন করেছেন দিনাজপুরের নারীরাও।
দিনাজপুরে শীতের বিদায় আর বসন্তকে বরণ করে নিতে রঙিন হাওয়ায় মেতেছেন নানান বয়সি নারী।
সোমবার সকালে দিনাজপুর শহরঘেঁষা পুনর্ভবা নদীর তীরে অবস্থিত জীবন মহল পার্কে বসন্তবরণের উৎসবের আয়োজন করে ৮২ হাজার সদস্যের অনলাইন ফেসবুক গ্রুপ দিনাজপুর গার্লস ক্লাব।
এ সময় বিভিন্ন বয়সি নারী একত্রিত হয়ে প্রাণের ছোঁয়ার উল্লাসে বরণ করে নেয় ফাল্গুন। ফাল্গুনের বরণ উপলক্ষ্যে হলুদ বর্ণের শাড়ি আর মাথায় ফুলের মুকুট পরে নাচে-গানে উল্লাসে মেতে উঠেন তরুণীরা।
দিনাজপুর গার্লস ক্লাবের অ্যাডমিন আফরিন মৌ, আফরোজা মাহমুদ বন্যা, মডারেটর রেনেসা আলম, আসমা মুন, জেসমিন সুলতানা লিজা, তাসপিয়া রহমান, আনোয়ারা স্বপ্নাসহ শতাধিক নারী নাচে-গানে আনন্দ-উল্লাসে ফাল্গুন বরণে অংশগ্রহণ করেন। ফাল্গুনের ছোঁয়ায় আগামী দিনের পথচলা যেন আরও সুন্দর হয় এই প্রত্যাশা করেছেন।
আফরিন মৌ বলেন, ফাল্গুন আমাদের বাঙালিপনার ঐহিত্য। এই ফাল্গুনকে নিয়ে বাঙালির কবিতা রয়েছে তার কোনো শেষ নেই। ফাগুনের ভালোবাসায় যেন কোনো দিন ফুরিয়ে যাবে না। তাই আমরা আমাদের গ্রুপের নারীরা একত্রিত হয়েছি কিছু সময় একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে।
আফরোজা মাহমুদ বন্যা বলেন, পহেলা ফাল্গুন মানে বসন্তের শুরু। বসন্তকালে নতুন কিছু আসে সবার জীবনে। তাই আমরা নতুন কিছুর প্রত্যাশা সব সময়ে করি। আর বসন্ত মানেই তো আনন্দ। তাই আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গল্প, গান, বনভোজন আর আড্ডা দেওয়ার জন্যই একত্রিত হওয়া।
রেনেসা আলম জানান, পুরনো সব গ্লানি ভুলে নতুন কিছুকে সাদরে গ্রহণের মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এই দিনটির অপেক্ষা করা হয়।
দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে দিনভর দেখা যায় এই বসন্ত উৎসবের আমেজ।