উপমহাদেশে নজরুলসংগীত প্রখ্যাতের শিল্পী ফিরোজা বেগমের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি।
১৯৪২ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ হয় ফিরোজা বেগমের। বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে তাঁর গাওয়া ইসলামি গানের রেকর্ড বের হয়। সংগীতে তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে।
ফিরোজা বেগমের বয়স যখন ১১ বছর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর গান শুনে বলেছিলেন, মেয়েটি একদিন অনেক বড় গায়িকা হবে। ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল নজরুলের। সেদিনের সেই মেয়েটি হলেন সুরসম্রাজ্ঞী ফিরোজা বেগম, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী।
সংগীতের প্রতি অনুরাগী ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান করার সুযোগ পান। কাজী নজরুল ইসলামের কাছে গানের তালিম নেওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছিল তাঁর।
ফিরোজা বেগমের মোট ১২টি এলপি, চারটি ইপি, ছয়টি সিডি এবং ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৩৮০টিরও বেশি একক সংগীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
দেশের প্রায় সব সম্মাননাই পেয়েছেন ফিরোজা বেগম। সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি স্বর্ণপদক ছাড়াও ভারতের ‘বঙ্গ সম্মান’সহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
ফিরোজা বেগম ১৯৫৫ সালে কলকাতার গায়ক, গীতিকবি ও সুরকার কমল দাশ গুপ্তকে বিয়ে করেন। ১৯৬৭ সালে তাঁরা ঢাকায় আসেন। তাদের তিন সন্তান তাহসিন আহমেদ, হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ। এর মধ্যে হামিন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’-এর অন্যতম সদস্য এবং শাফিন ‘মাইলস’-এর সাবেক সদস্য।