করোনায় বিধ্বস্ত ভারত। প্রতিদিনই লাখের উপর আক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে। মৃত্যুর সংখ্যা রোজ হাজার ছাড়িয়ে। এমন সময়ে ভারতের সামগ্রিক অর্থনীতিই পড়েছে হুমকির মুখে। সেই অর্থনীতির বিরাট একটি খাত শোবিজ। করোনায় চলমান লকডাউনে এখানেও পড়েছে মন্দার কালো থাবা।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে কিছু শুটিংয়ের অনুমতি মিলছে। এবার সেখানেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম না মেনেই শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। এই অভিযোগ উঠেছে কলকাতার শুটিং পাড়ায়। বিশেষ করে কলকাতার ধারাবাহিক নাটকের শুটিংগুলোতে করোনা বিধনিষেধ মানা হচ্ছে না বলে প্রতিবেদনই প্রকাশ করেছে।
তারা বলছে ভারতে নামেই চলছে ‘শুট ফ্রম হোম’। আদতে ভাড়া বাড়ি, হোটেল বা অতিথিশালায় শুটিং হচ্ছে। যেখানে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার বলা হচ্ছে সেখানে শুটিং হচ্ছে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেরও। ফেডারেশন তাদের ১৫ পাতার বিবৃতিতে প্রযোজকদের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানিয়েছিল।
বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে ফেডারেশন। সংগঠনের দাবি, প্রয়োজনে এই কমিটি প্রশাসনেরও সাহায্য নেবে। সেই বক্তব্যের স্বপক্ষে এবার কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনল সংগঠন। কোনো কোনো ধারাবাহিকের টুকরো দৃশ্য দেখে এমন দাবি তাদের?
তালিকায় রয়েছে ‘মিঠাই’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’। ফেডারেশনের দাবি, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের শুটিং হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এনএসসি বোস রোডে অবস্থিত একটি গুদাম ঘরে।
এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তার প্রশ্ন, ‘কার্যত লকডাউনে বাড়ির বাইরে শ্যুটিং করা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করা নয়?’
স্বরূপের আরও অভিযোগ, শুধুই বাড়ির বাইরে শুটিং নয় একাধিক অভিনেতা নিয়েও শুটিং করা হচ্ছে। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও তোলা হচ্ছে। যা করোনা-বিধি লঙ্ঘন করছে। বিবৃতিতে ফেডারেশন জানিয়েছিল, মহামারির শৃঙ্খল ভাঙতেই জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কাজ কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আওতায় টেলিপাড়াও পড়ে। কিন্তু পরিচালক, প্রযোজকেরা সে কথা মানছেন না। সংগঠনের তাই প্রশ্ন, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে যদি অভিনেতারা আক্রান্ত হন তার দায় কে নেবে?