Image default
বিনোদন

পরিচালক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন মৌসুমী হামিদের

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ এখন গল্পনির্ভর নাটক-সিনেমাতেই বেশি আগ্রহী। ব্যতিক্রমী চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান। তার সাম্প্রতিক কাজগুলো সেই সিদ্ধান্তেরই ঝলক। এসব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি

নতুন ছবি…

প্রায় চার মাস আগে নতুন ছবির শ্যুটিং শুরু করি। কিন্তু পরিচালকের নিষেধাজ্ঞার কারণে এত দিন তা কাউকে জানাতে পারিনি। নিশ্চয় তার কোনো পরিকল্পনা ছিল। সম্প্রতি তিনি এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। হৃদি হকের সরকারি অনুদানের ছবি ‘১৯৭১ সেই সব দিন’-এ কাজ করেছি। এখনো শ্যুটিং বাকি আছে। খুবই চমৎকার অভিজ্ঞতা। হৃদি আপু এত যতœ করে শ্যুটিং করছেন, এটা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো। অভিনয়ের কৌশল দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি কস্টিউম থেকে শুরু করে সব দিকে নজর দিচ্ছেন। আমি আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়েও খুশি।

হলিউডে ‘দ্য গ্রেভ’

গাজী রাকায়েতের ‘গোর’ ছবিটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংস্করণে নির্মিত হয়েছে। ইংরেজি নাম ‘দ্য গ্রেভ’। তার উদ্দেশ্য ছিল, বিশ^বাসীর সামনে বাংলাদেশের ছবিটি তুলে ধরা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এটি মুক্তি পাবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে। তবে এটা অন্য বাংলাদেশি ছবির মতো চেইন বিপণনের মাধ্যমে মুক্তি পাচ্ছে না। হলিউডের ছবি যে সাধারণ বিপণন ব্যবস্থায় প্রদর্শিত হয়, সেভাবেই হবে। কয়টি হলে বা করোনায় কয়জন দেখবেন, সেটা মুখ্য নয়। সেখানে ছবিটি প্রদর্শিত হবে, এটাই আমাদের জন্য গর্বের।

‘মাধবীলতা’…

আমি মূলত গল্পনির্ভর কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সম্প্রতি তেমনি একটি নাটক করেছি মারুফুর রহমানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায়। ‘মাধবীলতা’ শিরোনামের এ নাটকের শ্যুটিং হয়েছে রমনা পার্ক, উত্তরার দুটি শ্যুটিং হাউজসহ বিভিন্ন স্থানে। আমার বিপরীতে আছেন সজল। এর আগেও আমাদের জুটির নাটক প্রশংসিত হয়েছে। একজন লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল। আর আমি আছি নাম ভূমিকায়। মেয়েটি পেশায় একজন পতিতা। শিগগিরই নাটকটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।

অবশেষে ‘হাডসনের বন্দুক’…

২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের জন্য বিবেচিত হয় ‘হাডসনের বন্দুক’ ছবিটি। শ্যুটিং শুরু হলেও সিনেমাটি বারবার নানা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। সম্প্রতি সব কাজ শেষ হয়ে ছবিটি জমা পড়েছে সেন্সর বোর্ডে। লকডাউন শেষ হলেই এটি সেন্সর সনদ পাবে বলে শুনেছি। আমার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি ‘হাডসনের বন্দুক’। ছবিটি নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলাম। তবে বারবার কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশা তৈরি হয়। অবশেষে ছবিটি আলোর মুুখ দেখছে ভেবে ভালো লাগছে। ফেলুদা ফেলুদা একটা ব্যাপার আছে ছবিতে। সিপাহি বিপ্লবের সময় ঐতিহাসিক একটি বন্দুক হারিয়ে যায়। একজন শৌখিন গোয়েন্দা সেই বন্দুক উদ্ধার করতে চায়। রহস্যজনক ঘটনা নিয়েই এর গল্প। সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন প্রশান্ত অধিকারী।

Related posts

মধ্যবয়সের প্রেম নিয়ে শাব্দিকের ‘ঊনষাট বসন্ত’

News Desk

মাদকদ্রব্য আইনে মামলা: পরীমণির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২ জুন

News Desk

শুটিং সেটে বোমা বিস্ফোরণে আহত হওয়ার খবরটি ভুয়া, জানালেন সঞ্জয় দত্ত

News Desk

Leave a Comment