‘পলিটিকস করে ছুটির ঘণ্টা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শাবানা’
বিনোদন

‘পলিটিকস করে ছুটির ঘণ্টা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শাবানা’

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র ‘ছুটির ঘণ্টা’। চলচ্চিত্রটির প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা। এই সিনেমা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অঞ্জনা। অঞ্জনা দাবি করেন, ‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমায় শাবানা নন, তাঁকে নেওয়া হয়েছিল প্রধান নারী চরিত্রে। ‘ফিল্ম পলিটিকস’ করে সেই চরিত্র ছিনিয়ে নেন শাবানা। 

গতকাল রোববার অঞ্জনা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘ছুটির ঘণ্টা’ চলচ্চিত্রের মহরতের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, সত্যি ইতিহাস কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। চিত্রনায়িকা শাবানা ছবিটি ছিনিয়ে নেন। তাঁকে বাদ দিলেও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক সত্য সাহা তাঁকে দেওয়া সাইনিং মানি ফেরত নেননি। 

‘ছুটির ঘণ্টা’ ছায়াছবির মহরতের একটি ছবি পোস্ট করে অঞ্জনা লিখেছেন, ‘বিখ্যাত “ছুটির ঘণ্টা” ছায়াছবির শুভ মহরতে আমি ও নায়করাজ রাজ্জাক ভাই এবং গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাই, আজিজুর রহমান ভাই। শাবানা আপা ফিল্ম পলিটিকস করে ৪ দিন শুটিং হবার পরে ছবিটি আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু এই চলচ্চিত্রের প্রযোজক সত্য সাহা দাদা আমাকে দেয়া সাইনিং মানি ফেরত নেয়নি এবং ওনার প্রযোজনায় নির্মিত পরবর্তী চলচ্চিত্র “গুনাইবিবি” ছায়াছবিতে সেটা এ্যাডজাস্ট করেন। সত্যি ইতিহাস কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না।’ 

অভিনেত্রী অঞ্জনা। ছবি: সংগৃহীত এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে অঞ্জনা বলেন, ‘কেউ কারও পেটে লাথি দিয়ে ভালো থাকতে পারে না। আমার মতো এই পলিটিকসের শিকার যেন আর কেউ না হয়। আমাদের সবার পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল এই চলচ্চিত্র। বর্তমানের সবাইকে অনুরোধ করবো, কেউ যেন এভাবে কারও ক্ষতি না করে।’ 

অঞ্জনার পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। চলচ্চিত্র পরিচালক মালেক আফসারী লিখেছেন, “‘কোহিনূর” নামের একটি ছবিতে ববিতা ম্যাডাম একদিন শুটিং করার পর বাদ পড়েছেন। পরদিন শাবানা ম্যাডাম সেই ছবিতে অভিনয় করেছেন। বাকিটা বুঝে নিন।’ 

অভিনেত্রী মুনমুন লিখেছেন, ‘ফিল্ম পলিটিকস আগেও ছিল দিদি, তবে যারা এসব বেশি করত, তারাই সবার কাছে ভালো মানুষের মর্যাদা পেয়ে যায়।’ 

ছুটির ঘণ্টা’ চলচ্চিত্রের মহরত। ছবি: অঞ্জনার ফেসবুক থেকে ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন সবার অজান্তে স্কুলের বাথরুমে আটকে পড়ে ১২ বছরের খোকন। দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার প্রতীক্ষায় থেকে থেকে একটি নিষ্পাপ কচি মুখ কীভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে—সেই করুণ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে ছুটির ঘণ্টা ছবিতে। 

পরিচালক আজিজুর রহমান ১৯৮০ সালে নির্মাণ করেন ছবিটি। প্রযোজনায় ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক সত্য সাহা। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশুশিল্পী সুমন। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক, শাবানা, সুজাতা, শওকত আকবর, এ টি এম শামসুজ্জামান প্রমুখ। 

শিশুশিল্পী সুমন। ছবি: সংগৃহীত ছবির পরিচালক, প্রযোজক এবং প্রধান কলাকুশলীরা আর বেঁচে নেই। শাবানা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। অঞ্জনার অভিযোগ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য পাওয়ার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Source link

Related posts

ফিরছে ফোক ফেস্ট, আবার হবে শেকড়ের গান

News Desk

বাজেট নিয়ে বিতর্কে অনন্ত জলিলের ‘দিন: দ্য ডে’

News Desk

তানজিন তিশার সঙ্গে নৈশভোজের সুযোগ

News Desk

Leave a Comment