ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি ও রাজবধূ মেগান মার্কেল শুরু করতে যাচ্ছেন এক ভিন্ন যাত্রা। দুজন মিলে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন, সে খবর তো পুরোনো। শিগগিরই শুরু হচ্ছে সে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ছবির কাজ। অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের জন্য প্রথম ছবিটি বানাচ্ছেন তাঁরা। ক্যামেরা প্রস্তুত, প্রস্তুত রাজপুত্র হ্যারি ও রাজবধূ মেগানও।
হলিউড অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছেন হ্যারি। এবার তিনি হয়ে যাবেন সিনেমার প্রযোজক বা নায়ক! এত সহজ করে চিন্তা করা যাবে না। তাঁদের প্রতিষ্ঠান আর্চওয়েল প্রোডাকশন থেকে প্রথম নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি ডকু-সিরিজ। সেটিও কোনো সাধারণ বিষয় নিয়ে নয়, পক্ষাঘাতগ্রস্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে। ২০১৪ সালে হ্যারি নিয়েছিলেন এক মহৎ উদ্যোগ। দেশের জন্য কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় যাঁরা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন তিনি। তাঁদের সহনশীলতা বাড়াতে ও যন্ত্রণা কমাতে আয়োজন করেছিলেন ‘দ্য ইনভিকটাস গেমস’।
এ খেলায় অংশ নেন নানা বয়সের পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী-পুরুষেরা। এবার তাঁদের নিয়েই নির্মিত হবে ডকু-সিরিজ ‘হার্ট অব ইনভিকটাস’। এক বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছেন, ‘সেই শুরু থেকে দেখে আসছি, ইনভিকটাস গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা কত ধৈর্য নিয়ে তাঁদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলেন। এসবের ওপর নির্মিতব্য আমাদের সিরিজ সারা পৃথিবীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষকে প্রশান্তি, আনন্দ ও উদ্যোগ জোগাবে।’
সিরিজটি বানানোর জন্য দ্য ইনভিকটাস গেমস ফাউন্ডেশন ও নেটফ্লিক্স চুক্তি করেছে। অস্কারজয়ী ব্রিটিশ পরিচালক অরল্যান্ডো ভৌন আইসিডেল ও জোয়ানা নাতাসিকারা এ সিরিজের প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পর্দায় দেখা যাবে প্রিন্স হ্যারিকে। অনেকগুলো পর্বের এ সিরিজের পর ধীরে ধীরে আরও তথ্যচিত্র, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শিশুদের অনুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাণ করবেন মেগান ও হ্যারিরা। অন্যদিকে ‘দ্য ইনভিকটাস গেমস’–এর পরের আসরটি আগামী বছর বসতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের হেগে।
সূত্র: পিপল