নিজের উচ্ছৃঙ্খল স্বভাব শুধরে নেওয়ার গল্প শোনালেন জাস্টিন বিবার। জিকিউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাদকজনিত সমস্যা, স্ত্রী হেইলি বোল্ডউইন ও খ্রিষ্ট ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সম্প্রতি।
এ পপ আইকন জানান, হেইলি তার প্রতি খুবই যত্নশীল। স্ত্রীর পাশে থাকতে স্বস্তি ও নিরাপদ বোধ করেন। খোদার সঙ্গে তার সম্পর্ক দুর্দান্ত। এ সব ভালোবাসার কথা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান। অতীত খারাপ আচরণ ও ভয়াবহ নেশার কারণে কানাডীয় এ সুপারস্টার নানা সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন।
অবস্থা এতই খারাপ হয়েছিল যে, রাতের বেলা মাঝে মাঝে বিবারের ঘরে দেহরক্ষীরা আসতেন। তারা নাড়ি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতেন, এখনো বেঁচে আছে। সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান গায়ক। বিবারের প্রথম সিঙ্গেল ‘ওয়ান টাইম’ প্রকাশের পর ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম স্বীকৃতি পায়। তখন তার বয়স মাত্র ১৫। পরের কয়েক বছরের গ্লোবাল স্টারে পরিণত হন। এরপর থেকে তার আচরণ ক্রমশ বদলে যেতে থাকে। অস্থিরতা পেয়ে বসে তাকে। একে নিজের খ্যাতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন বিবার।
২০১৮ সালের নভেম্বরে হেইলি বোল্ডউইনকে বিয়ের ঘোষণা দেন তিনি। পরের বছরের মার্চে জানান, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিকে সংগীত থেকে বিশ্রাম নেবেন। জিকিউ ম্যাগাজিনকে জানান, ২০২০ সালের জুনে জানতে পারেন লাইম রোগে ভুগছেন।
এ সবের মাঝে বিয়েকে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে দেখছেন বিবার। বিয়ের প্রথম বছর কঠিনভাবে গেলেও এখন অনেক সুন্দর স্মৃতির অধিকারী তিনি। পাশাপাশি ধর্মে মনোযোগকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখেন।
মার্চে প্রকাশ হয়েছে জাস্টিন বিবারের ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘জাস্টিস’। এটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এর পর এপ্রিলে গসপেল থেকে অনুপ্রাণিত ‘ফ্রিডম’ নামের ছয় গানের ইপি প্রকাশ করে সংগীতপ্রেমীদের চমকে দেন।