Image default
বিনোদন

বড় বোনের জন্য দোয়া চাইলেন শবনম ফারিয়া

সংকটের এক সপ্তাহ পেরোলেও ভারতে এখনও নিশ্চিত হয়নি অক্সিজেনের জোগান। এর জেরে রাজধানী দিল্লিতে কঠিন রূপ নিয়েছে। সেখানে অক্সিজেন সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বড় বোন বন্যার জীবন। সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে শবনম ফারিয়া নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। তবে বড় বোন বন্যা করোনা নাকি অন্য কোনো অসুস্থতায় ভুগছেন সে সম্পর্কে কিছু জানাননি ফারিয়া।

বুধবার (৫ মে) মধ্যরাতে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যটাসে তার বোনের জীবন বিপদাপন্ন হওয়ার কথা জানান তিনি। ওই স্ট্যাটাসে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমার বড় বোন আমার ১৬ বছর আর মেজ বোন প্রায় ১২ বছরের বড়! আমার সারা জীবন কষ্ট ছিল, অন্যদের বোনদের সঙ্গে যেমন বন্ডিং থাকে আমার নাই! ইনফ্যাক্ট আমার বড় দুই বোনের নিজেদের মধ্যে যেই বন্ডিং সেইটা আমার সঙ্গে নাই! আমার বয়স যখন সাড়ে তিন বড় আপুর বিয়ে হয়ে গেছে, ৫ বছর বয়সে ছোট আপু পড়াশোনার জন্য বাসার বাইরে, তারপর তো বিয়েই হয়ে গেল!

আমি সেভাবে কখনো আমার বোনদের সঙ্গে থাকি নাই, বরং আমার ভাগনে-ভাগনি আমার বন্ধু! বয়সে যুগের পার্থক্য থাকায় আমার সঙ্গে ওদের একটা জেনারেশন গ্যাপ সব সময়ই প্রকট। তার উপর তাদের সব সময় মনে হতো ভালো ফ্যামিলির মেয়েরা মিডিয়াতে কাজ করে না, এইটা নিয়ে আমার দুঃখের সীমা-পরিসীমা নাই। কখনো উৎসাহ দূরের কথা, পারলে দু-চারটা কথা শোনানোর সুযোগ পেলে মিস করে না! কস্টের উপর ডাবল কষ্ট! লিখেছেন ফারিয়া।

তিনি লেখেন, পরশু আমার বড় আপু যখন বলল, তৃপ্তি (শবনম ফারিয়ার ডাকনাম) আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, আমি জানি ফোনটা রেখে আমি কতক্ষণ হাউমাউ করে কাঁদছি। আমার মেজ বোন কল করে কাঁদতে কাঁদতে যখন বলল, তৃপ্তি আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে, আমি এত মানুষকে খাওয়াই, আমার বোন বিদেশে শুয়ে খাওয়ার কষ্ট পাচ্ছে, কি বলে আমার বোনকে সান্ত্বনা দিব? আমার বাবা ডাক্তার ছিল, সবার সব অসুস্থতায় বাবার কাছে আসত! আজকে দিল্লিতে আমার বোন অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে! আমরা হেল্পলেস, কিছু করার নাই।

বিষয়টি পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে গোপন রাখার কথা জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আমরা পরশু পর্যন্ত মা’র কাছ থেকে পুরো বিষয়টি গোপন করে রেখেছি, কালকে মোজ বোন বলল, তৃপ্তি আম্মু দোয়া করলে যদি বন্যা ভালো হয়ে যায়, চল আমরা আম্মুকে জানাই। গত দুই দিন আমার মায়ের মুখের দিকে তাকানো যায় না, তার বড় মেয়ে, ১৮ বছর বয়সে তার মেয়ে হইছে, যখন সে নিজেই বাচ্চা… সেই মেয়ের এই অবস্থা তো তার সহ্য হয় না।

তাও এত দূরে এখন! আমরা আসলে কাছের মানুষদের উপরই বেশি অভিমান করি, কষ্ট পাই, রাগ করি, আর সম্ভবত সে জন্যেই তারা কাছের মানুষ। দূরের মানুষের সঙ্গে আর কিসের রাগ? কিন্তু কিছু ঘটনা আছে, তখন বুঝতে পারি আমাদের জীবনে তারা কত স্পেশাল, তাদের আমরা কত ভালোবাসি, তারা কত কিছু করে আমাদের জন্য।

স্ট্যটাসের শেষে বড় বোনের জন্য সবার কাছে দোয়া চান এই অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, সবার কাছে একটা অনুরোধ আপনারা দোয়ার সময় আমার বড় আপুর কথা একটু স্মরণ করবেন। ঢাকায় বসে আসলে দোয়া করা বা দোয়া চাওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই।

Related posts

১০০ বছরের সেরা সিনেমায় ‘পথের পাঁচালী’

News Desk

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ কিনছে না কোনো ওটিটি, পরিচালক বললেন ‘সব ষড়যন্ত্র’

News Desk

করোনামুক্ত হলেন ক্যাটরিনা

News Desk

Leave a Comment