করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। অন্য সকলের মতো তার মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফরিদ আহমেদকে নিয়ে করলেন স্মৃতিচারণ।
চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, “ফরিদ ভাইয়ের সাথে টুকরো টুকরো অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। তার স্টুডিওতে কখনো গানের রেকর্ডিং, কখনো ভয়েজের কাজ আবার কখনো নাটকের কাজ। আমাদের অধিকাংশ নাটকের আবহসংগীত ফরিদ ভাইয়ের করা। এরমধ্যে উল্লেখ করি বিশেষ একটি জনপ্রিয় নাটক ‘সার্ভিস হোল্ডার’র কথা। এরকম অসংখ্য কাজ করেছেন তিনি। পর্দার পেছনের মানুষ, সদা হাস্য, অত্যন্ত বিনয়ী এবং এই সৃষ্টিশীল মানুষের প্রস্থানে আমরা সবাই মর্মাহত। ভালো থাকবেন ফরিদ ভাই।”
অনেক কালজয়ী গানের সুরকার ফরিদ আহমেদ। লিটন অধিকারী রিন্টুর লেখা ও কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’ গানে সুর করে প্রথম প্রশংসিত হন ফরিদ আহমেদ। এরপর থেকে অসংখ্য গান সৃষ্টি করেছেন তিনি। নাটক-সিনেমার আবহসংগীতকার হিসেবেও তার অবদান অনেক।
ফরিদ আহমেদের সুর করা আলোচিত গানের মধ্যে রয়েছে ‘ইত্যাদি’ ম্যাগাজিনের টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’, কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’, ‘মনেরই রাগ অনুরাগ’, রুনা লায়লার ‘ফেরারী সাইরেন’, রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের কণ্ঠে ‘দলছুট প্রজাপতি’, চ্যানেল আইয়ের ‘আজ জন্মদিন’, ‘ক্ষুদে গানরাজ’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’, সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতার থিম সং, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে ‘তুমি আমার জীবনের গহিনে’ প্রভৃতি।
২০১৭ সালে সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি এবং রেশ ফাউন্ডেশন নামের আলাদা দুটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নিবিড় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সংগীতপ্রাণ ফরিদ আহমেদ।